শেখ হাসিনাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে আরও দুই হত্যা মামলা
Published: 4th, June 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় গণহত্যায় জড়িত থাকা ও প্ররোচনার অভিযোগে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। একই থানায় আগে আরও পাঁচটি মামলা হয়েছিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগমুহূর্তে সফিপুর আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়। এতে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার নারাচাতল গ্রামের রোস্তম মিয়া (৪৬) ও বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার মজনু প্রামাণিকের ছেলে মো.
আপেল মাহমুদ মামলায় উল্লেখ করেন, তাঁর ভাই মো. মাহফুজ পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরের বাড়ইপাড়া এলাকায় থেকে ইন্টার সফট কারখানায় চাকরি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে গুলিতে নিহত হন। এই মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, কালিয়াকৈর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পৌর সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেনসহ ৩৪ জন। এতে অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় শেফালী বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী কালিয়াকৈর উপজেলার আহাম্মদনগর এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নিলে সফিপুর আনসার একাডেমির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে মারধর ও গুলি করে হত্যা করে। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মোজাম্মেল হককে। অন্য আসামিরা হলেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন সিকদার, উপজেলা সভাপতি মুরাদ কবীর, মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন, তাঁর বড়ভাই সারোয়ার হোসেন, মৌচাক ইউনিয়ন সভাপতি হাবিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিকুল ইসলমসহ ৩১৬ জন।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুল হক জানান, দুটি মামলাই আদালতের নির্দেশে করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত
মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।
এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির।
আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।
ঢাকা/শাহীন/রফিক