আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ থাকলেও তা সামগ্রিকভাবে বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব নয় বলে মনে করছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সংগঠনটির মতে, বাজেটে নীতির ধারাবাহিকতা না থাকা ও কিছু সাংঘর্ষিক পদক্ষেপের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে এফআইসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এমডি জাভেদ আখতার। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় ও রূপালী হক চৌধুরী এবং কর বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, সরকার চাচ্ছে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসুক। অথচ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের মতো দেশের চেয়েও এখানে বিদেশি বিনিয়োগ কম। কারণ নীতি সংকট ও ধারাবাহিকতার অভাব।
সংগঠনের নেতারা বলেন, বাজেটে কিছু খাতে কর ছাড় দেওয়া হলেও কিছু খাতে নতুন কর আরোপ বা বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে ইতিবাচক উদ্যোগগুলোর সুফল বিঘ্নিত হচ্ছে। জাভেদ আখতার বলেন, সরকার যখন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চায়, তখন এমন নীতি-অসামঞ্জস্য উল্টো বিদেশিদের নিরুৎসাহিত করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে করা হলেও এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অনুপস্থিত। ফলে বিনিয়োগে গতি আসবে না, কর্মসংস্থানও বাড়বে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও যথাযথ পদক্ষেপ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফিকি বলছে, সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পরিচালন ব্যয়ের ৯৫ শতাংশের সমান, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জাভেদ আখতার বলেন, টার্নওভার ট্যাক্স ১ শতাংশে উন্নীত করায় আইন না মানা ব্যবসাগুলো বিক্রি গোপন করে কর ফাঁকি দেবে। এতে করের ভার বাড়বে সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর, যারা সৎভাবে কর দেয়।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের এমডি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ঘোষিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের বাস্তব আয় থেকে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। অথচ করের আওতা না বাড়িয়ে বারবার একই করদাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁর মতে, কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে হবে এবং নতুন করদাতাদের করজালে আনার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
বার্জার পেইন্টসের এমডি রূপালী হক চৌধুরী বলেন, কিছু খাতে হঠাৎ কর বাড়িয়ে শিল্প খাতকে অপ্রস্তুত করে দেওয়া হচ্ছে। যার প্রভাব উৎপাদন ব্যয় এবং ভোক্তা পর্যায়ের মূল্যে পড়বে। তিনি বলেন, শিশুখাদ্যে শুল্ক বাড়ানো, কোমল পানীয় খাতে কর বৃদ্ধি এসব সিদ্ধান্ত ভোক্তা ও রাজস্ব উভয় দিক থেকেই ক্ষতিকর। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, কাস্টমসের পূর্ণ অটোমেশন এবং করজাল সম্প্রসারণের আহ্বান জানান তিনি।
রূপালী হক চৌধুরী বলেন, সরকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে চাইলে করছাড় প্রণোদনা স্পষ্ট ও নিশ্চিত করতে হবে। আইপিও অনুমোদনের সময় কমাতে ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। কর সুবিধা পাবে বলে গ্রামীণফোন তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সে সুবিধা পায়নি– এমন অভিযোগ তুলে নীতির ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতার দাবি জানান তিনি। বলেন, উৎসাহমূলক যথেষ্ট প্রণোদনা পেলে কেনো বিদেশি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে না।
কর বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, যদি আইনে আইপিওর পরিবর্তে ‘পাবলিক অফার’ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা হতো তাহলে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও ১০ শতাংশ শেয়ার না ছাড়া কোম্পানিগুলো করছাড় পেতে আরও শেয়ার ছাড়ত ।
তিনি বলেন, বাজেট শুধু সংখ্যার বিষয় নয়, এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ‘সিগন্যাল’। সরকারের উচিত বাজেটের মাধ্যমে যেন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হওয়ার বার্তা না যায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা। তিনি আরও বলেন, বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬ শতাংশ বড়, কিন্তু প্রকৃত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৩৮ শতাংশ বেশি। এ লক্ষ্য কতটা বাস্তবসম্মত এবং তা অর্জনে কাদের ওপর চাপ পড়বে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করছাড় তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি বলে সমালোচনা করে বলেন, এতে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া ও স্বচ্ছতা বাড়াতে সরকারের উদ্যোগই ব্যাহত হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৫ ২৬ লক ষ য প রস ত সরক র স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলাম প্রচারে মহানবী (সা.)-এর অন্তরঙ্গ সঙ্গী
আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। তাঁর জীবন ছিল দাওয়াতের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত। তিনি নিজের জ্ঞান, বাগ্মিতা এবং আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা দিয়ে ইসলামের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।
নবীজি (সা.) যখন আরবের গোত্রগুলোর কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দিচ্ছিলেন, তখন আবু বকর (রা.) ছায়ার মতো থাকতেন তাঁর সঙ্গী হয়ে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যাদের দাওয়াত দিয়েছি, সবাই দ্বিধায় পড়েছে, কিন্তু আবু বকর বিনা দ্বিধায় আমাকে গ্রহণ করেছে (সিরাতে ইবনে হিশাম, পৃ. ১৪১)।’
নবীজি (সা.)-এর উপস্থিতিতে ও অনুপস্থিতিতে তিনি তাঁর পক্ষে কথা বলতেন, তবে কখনো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আগে এগিয়ে যেতেন না।ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াআরব গোত্র সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান
তিনি ছিলেন আরব গোত্রের বংশপরিচয় ও ইতিহাসের অগাধ পণ্ডিত। (ইমাম সুয়ুতি, তারিখুল খুলাফা, ১৯৯৭, পৃ. ১০০)। এই জ্ঞান তিনি দাওয়াতের কাজে ব্যবহার করতেন। তিনি জানতেন কোন গোত্রের কী শক্তি, কী ঐতিহ্য এবং কীভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। তিনি প্রমাণ করেছেন যে কোনো জ্ঞান, তা তাত্ত্বিক হোক বা ব্যবহারিক—আল্লাহর পথে ব্যবহার করা যায়।
ইসলামের বাণী প্রচারে তাঁর বাগ্মিতা
আবু বকর (রা.) ছিলেন অসাধারণ বাগ্মী। তাঁর কথার মাধুর্য মানুষের হৃদয়ে গেঁথে যেত। নবীজি (সা.) যখন হজের মৌসুমে আরব গোত্রগুলোর কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন, তখন আবু বকর (রা.) তাঁর পাশে থেকে মানুষকে প্রস্তুত করতেন। তিনি গোত্রের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন, তাঁদের সম্মান দিতেন এবং নবীজির বাণী শুনতে উৎসাহিত করতেন। ইবনে কাসির লিখেছেন, ‘নবীজি (সা.)-এর উপস্থিতিতে ও অনুপস্থিতিতে তিনি তাঁর পক্ষে কথা বলতেন, তবে কখনো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আগে এগিয়ে যেতেন না।’ (ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৯৯৬, ২/৯২)।’ তাঁর এই বিনয় ও কৌশল দাওয়াতের পথকে আরও ফলপ্রসূ করেছিল।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যাদের দাওয়াত দিয়েছি, সবাই দ্বিধায় পড়েছে, কিন্তু আবু বকর বিনা দ্বিধায় আমাকে গ্রহণ করেছে।তিনি গোত্রের শক্তি, সংখ্যা এবং ঐতিহ্য জেনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেন। তিনি তাঁদের সম্মান দিয়ে দাওয়াতের পথ সুগম করতেন। কেননা দাওয়াতে সফলতার জন্য শ্রোতার প্রেক্ষাপট বোঝা জরুরি।
আরও পড়ুনকোরআনের সবচেয়ে চমৎকার কাহিনি১৭ মে ২০২৫বনু শায়বানের কাছে দাওয়াত
নবীজি (সা.) একবার আরব গোত্র বনু শায়বান বিন সালাবার কাছে দাওয়াত নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন আলী (রা.) ও আবু বকর (রা.)। আলী (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমরা একটি সম্মানিত সভায় পৌঁছালাম, আবু বকর এগিয়ে গিয়ে সালাম দিলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনারা কোন গোত্রের?’ তারা বলল, ‘বনু শায়বান।’ তিনি নবীজির (সা.) দিকে ফিরে বললেন, ‘আপনার জন্য আমার মা-বাবা কোরবান, এরা তাদের গোত্রের শ্রেষ্ঠ, মানুষের মধ্যে মণি। এদের মধ্যে আছেন মুফাররাক বিন আমর, হানি বিন কুবাইসা, মুসান্না বিন হারিস ও নুমান বিন শারিক।’ (ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৯৮৮, ২/১৪৩-১৪৫)।
আবু বকর (রা.) মুফাররাকের সঙ্গে কথা শুরু করলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনাদের সংখ্যা কত?’ মুফাররাক বললেন, ‘আমরা এক হাজারের বেশি নই, কিন্তু হাজার কখনো পরাজিত হয় না।’ আবু বকর (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনাদের শক্তি কেমন?’ মুফাররাক বললেন, ‘আমরা যুদ্ধে রাগলে সবচেয়ে শক্তিশালী, আমরা সন্তানের চেয়ে ঘোড়াকে, দুধের গাভির চেয়ে অস্ত্রকে বেশি ভালোবাসি। জয় আল্লাহর হাতে, কখনো আমরা জয়ী হই, কখনো পরাজিত। আপনি কি এই কুরাইশির ভাই (আল্লাহর রাসুলের দিকে ইঙ্গিত করে)?’ আবু বকর বললেন, ‘যদি শুনে থাকেন যে আল্লাহর রাসুলের আবির্ভাব হয়েছে, তিনি এখানেই আছেন।’
‘আমরা পারস্যের কিসরার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। আমরা কোনো নতুন বিষয় শুরু করতে পারি না, কাউকে আশ্রয় দিতে পারি না। তবে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি।’নবীজি (সা.) বললেন, ‘আমি আপনাদের আহ্বান করছি এই সাক্ষ্য দিতে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমি তাঁর বান্দা ও রাসুল। আপনারা আমাকে আশ্রয় দিন, আমাকে সাহায্য করুন, কারণ কুরাইশ আল্লাহর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারা রাসুলকে মিথ্যাবাদী বলেছে।’ (ইবনে কাসির, ১৯৮৮, পৃ. ১৪৪)। নবীজি (সা.) পাঠ করলেন, ‘বলো, এসো, আমি তোমাদের পড়ে শোনাই, যা তোমাদের রব তোমাদের জন্য হারাম করেছেন: তাঁর সঙ্গে কিছু শরিক করবে না, পিতামাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, দারিদ্র্যের কারণে সন্তান হত্যা করবে না…।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৫১)।
মুফাররাক বললেন, ‘আপনি উত্তম নৈতিকতা ও সুন্দর কাজের দাওয়াত দিচ্ছেন। যারা আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে, তারা মিথ্যাবাদী।’ তবে হানি বিন কুবাইসা বললেন, ‘আমরা আমাদের ধর্ম ছেড়ে আপনার ধর্ম গ্রহণ করতে পারি না। এটি তাড়াহুড়ো হবে। আমরা ফিরে গিয়ে ভাবব।’ মুসান্না বিন হারিস বললেন, ‘আমরা পারস্যের কিসরার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। আমরা কোনো নতুন বিষয় শুরু করতে পারি না, কাউকে আশ্রয় দিতে পারি না। তবে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি।’ (ইবনে কাসির, ১৯৮৮, পৃ. ১৪৫)।
নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা সত্য কথা বলে ভালো উত্তর দিয়েছ। কিন্তু আল্লাহর দীনকে সে-ই সমর্থন করবে, যে এটিকে সব দিক থেকে রক্ষা করবে। তোমরা কি দেখ না, অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহ তোমাদের তাদের জমি, ঘরবাড়ি দান করবেন? তখন কি তোমরা আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করবে না?’ নুমান বিন শারিক বললেন, ‘হে আল্লাহ, এটি যেন হয়!’ (ইবনে কাসির, ১৯৮৮, পৃ. ১৪৫)।
বনু শায়বান প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেনি। কারণ, তারা পারস্যের কিসরার ভয়ে চুক্তি ভাঙতে চায়নি। কিন্তু দশ বছর পর, ইসলাম গ্রহণের পর, তাদের নেতা মুসান্না বিন হারিস হজরত আবু বকর (রা.)-এর খিলাফতের সময় পারস্যের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ করেন। ইসলাম তাদের ভয়কে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছিল (তারিখুল ফুতুহাত, ১৯৮৮, পৃ. ২০)।
আরও পড়ুনসুরা হুমাজাতে চারটি পাপের শাস্তির বর্ণনা০৬ মে ২০২৫জীবন থেকে শিক্ষা
আবু বকর (রা.) নবী (সা.)-এর সঙ্গে সব সময় ছিলেন। এই সঙ্গীত্ব তাঁকে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বোঝাপড়া দিয়েছে। তিনি ইসলামের মূল সত্য, জীবনের উদ্দেশ্য এবং হক ও বাতিলের সংগ্রাম বুঝেছিলেন। তাঁর হৃদয়ে রাতের নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং আল্লাহর জিকিরের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছিল (হামিদি, তারিখুল ইসলাম, ১৯৯৮, পৃ. ৬৯)।
তাঁর দাওয়াতে অংশগ্রহণ ছিল ইসলামের প্রাথমিক সাফল্যের একটি মূল চাবিকাঠি। তিনি প্রমাণ করেছেন, দাওয়াতে সফলতার জন্য জ্ঞান, কৌশল এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ নির্ভরতা প্রয়োজন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, তিনি তাদের পথ সহজ করে দেন।’ (সুরা আনকাবুত: ৬৯)
আরও পড়ুনসুরা আর রাহমানে সবকিছু যুগ্মভাবে বর্ণনা করা হয়েছে২০ ডিসেম্বর ২০২৪