হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলতে অসম্মতি জানানোয় মরতুজ আলী (৫৫) নামে এক চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন চা শ্রমিকের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৪ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চানপুর চা বাগানের বাস স্টপেজে ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) চুনারুঘাট থানার ওসি মো. নূর আলম এ তথ্য জানান।

নিহত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক একই উপজেলার নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

যশোরের শার্শায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

খুলনায় ছুরিকাঘাতে ওয়াসার শ্রমিক নিহত

চুনারুঘাট থানার ওসি মো.

নূর আলম বলেন, “কয়েকজন চা শ্রমিক উপজেলা সদর থেকে চানপুর চা বাগানে যাওয়ার জন্য মরতুজ আলীর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে চান। মরতুজ আলী জানান, তিনি শ্রমিকদের নিতে পারবেন না, কারণ- অন্য দুইজন যাত্রীর জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। এনিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চা শ্রমিকরা অন্য আরেকটি গাড়িতে করে চলে যান।”

“রাত ১০টায় মরতুজ আলী তার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চানপুর চা বাগানে গেলে কয়েকজন চা শ্রমিক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা তাকে মারধর করেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মরতুজ আলীকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক মুরতুজ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন”, যোগ করেন তিনি।

ওসি বলেন, “হামলাকারী চা শ্রমিকদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ