মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার কৌশলগত বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ব্যাপক ড্রোন হামলার ঘটনায় মস্কো ‘উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে’। 

চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। 

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে বুধবার (৪ জুন) একটি পোস্টে লিখেছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং ১ জুনের হামলা নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

আরো পড়ুন:

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জেলেনস্কির

উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন,  “আমরা রাশিয়ার পার্কিং করা বিমানগুলোতে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা এবং  উভয় পক্ষের এর আগের বিভিন্ন হামলা নিয়ে আলোচনা করেছি.

..। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন এবং খুব দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, বিমানঘাঁটিগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার উপযুক্ত জবাব মস্কো দেবে।”

ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে বুধবার প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প আরো উল্লেখ করেন, “কথোপকথন ভালো ছিল। তবে এমন আলোচনা হয়নি যা দ্রুত শান্তি স্থাপন করবে।” 

বুধবার মস্কো জানিয়েছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা চালানোর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়টি আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার জন্য ক্রেমলিন পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করছে। 

গত বুধবার রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে চারটি সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে রাশিয়ার অন্তত ৪০টির বেশি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করে কিয়েভ।

এই হামলার পর কিয়েভকে সংযত থাকতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানায় রাশিয়া। তবে ব্রিটিশ এবং মার্কিন কর্মকর্তা বলছেন, পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম রাশিয়ার দূর-পাল্লার যুদ্ধবিমানে ইউক্রেনের এই হামলার বিষয়ে তারা আগে থেকে কিছুই জানত না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে ইরান সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। এতে পুতিন তেহেরানের সঙ্গে পারমাণকি কর্মসূচি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চলমান আলোচনায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছি যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না এবং এ বিষয়ে আমি মনে করি আমাদের মধ্যে ঐকমত্য ছিল।” তিনি ইরানকে আলোচনা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা’ বা সময়ক্ষেপণেরও অভিযোগ করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ