যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক  প্রকাশ্যে বিবাদে রূপ নিয়েছে। একে-অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছেন। সরকারি খরচ কমানোর জন্য বিশেষ সরকারি উপদেষ্টা পদে ছিলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক। তার কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল।

ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ট্রাম্প বলছেন, ইলন মাস্কের কার্যকলাপে তিনি ‘হতাশ’। ওদিকে মাস্ক বলছেন, ট্রাম্প ‘অকৃতজ্ঞ’। ট্রাম্প সাংবাদিকদের কাছে মাস্কের তীব্র সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, স্যোশাল মিডিয়া এক্সে একের পর এক পোস্টে ট্রাম্পকে পাল্টা তুলোধুনো করছেন মাস্ক। এমন প্রকাশ্য বাদানুবাদে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সঙ্গে বৈঠকের সময় মাস্ককে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। সেটা আর থাকবে কি না আমি জানি না। আমি মাস্ককে নিয়ে খুবই হতাশ। আমি তাকে অনেক সাহায্য করেছি। তিনি এখানে অন্যদের চেয়ে বিগ বিউটিফুল বিলের ভেতরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভালোভাবে জানতেন। এতে তার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। হঠাৎই তার সমস্যা দেখা দিল। মাস্ক এই বিলের যে সমালোচনা করেছেন, তাতে ট্রাম্প বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান।

প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যের পর স্যোশাল মিডিয়া এক্সে পাল্টা জবাব দিয়ে ইলন মাস্ক লেখেন, আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যেতেন। ডেমোক্র্যাটরা হাউজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। আর সিনেটে রিপাবলিকানদের সূক্ষ্ম ব্যবধান (৫১-৪৯) থাকত। অথচ ট্রাম্প এই ধরনের অকৃতজ্ঞতা দেখাচ্ছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ও তার দলের অন্যান্য রিপাবলিকানদের জন্য ২৭ কোটি ডলার খরচ করেছিলেন মাস্ক। সেইসূত্রে ট্রাম্পের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ট্রাম্পের।

ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের পর মাস্কের জন্য আলাদা একটি দফতর তৈরি করেছিলেন। সেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দপ্তর (ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডিওজিই)-এর কাজ ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাটছাঁট করে অর্থনৈতিক সাশ্রয় করা।

গত মাসে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করার পর ট্রাম্প এটিকে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নাম দেন। সেই বিল নিয়ে পরে ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে।

মাস্কের দাবি ছিল, তিনি এবং তার সহকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনে থেকে এতদিন ব্যয় কমাতে যে কাজ করে এসেছেন সবই ব্যর্থ হবে এই বিলের কারণে।

বিলটি তাকে দেখানোর আগেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সেটি পাস করানোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলেও সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেন মাস্ক।

তবে বিলটির বিরোধিতায় মাস্কের ব্যক্তিগত কারণ থেকে থাকতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলছেন, পর্যায়ক্রমিক কর ও ব্যয় সংক্রান্ত এই বিলের সরাসরি প্রভাব পড়ত মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার উপর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক য ক তর ষ ট র ইলন ম স ক র র জন য প রক শ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিডি পেইন্টসের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

পুঁজিবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি পেইন্টস লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিডি পেইন্টস লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এ+’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি- ২’।

কোম্পানির ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য পর্যালোচনা করে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ