পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়
Published: 6th, June 2025 GMT
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত পদ্মা সেতুতে এবারের ঈদযাত্রায় সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সেতু পারাপার করেছে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
গত বছর ঈদুল ফিতরে আগে এক দিনে এই সেতু পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। যা ছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সর্বচ্চো টোল।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদ।
আরো পড়ুন:
গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়
টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপার করেছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩৫ হাজার ৯৮৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৬ হাজার ৫০২টি গাড়ি। এসময় এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৪ জুন পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। যা এ যাবৎকালের তৃতীয় সর্বচ্চাে। চতুর্থ সর্বচ্চো টোল আদায় করা হয় ২০২৩ সালের ২৭ জুন ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। ২০২৪ সালের ১৫ জুন আদার করা ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। যা টোল আদায়ের রেকর্ডে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। সবকটি সর্বচ্চো টোলের রেকর্ড হয় ঈদকে কেন্দ্র করে।
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন পদ ম স ত ন পদ ম
এছাড়াও পড়ুন:
আলোচিত ছাগলটি এখন কোথায়
বলছি মতিউরের সেই ছাগলের কথা। বাদামি গায়ে ছোপ ছোপ দাগ, আকারে বেশ বড়। ২০২৪ সালে পবিত্র ঈদুল আজহায় সবচেয়ে আলোচিত ছিল এই ছাগল।
যাঁরা ভুলে গেছেন, তাঁদের মনে করিয়ে দিই, ২০২৪ সালের পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ছাগলটি কেনেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তৎকালীন সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় ঘরের সন্তান মুশফিকুর রহমান (ইফাত)। সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন তখন ছাগলটির দাম নেন ১৫ লাখ টাকা।
মতিউরের ছেলে মুশফিকুর ছাগলটির সঙ্গে একটি সেলফি তুলে ফেসবুকে দেন। সে–ই শুরু। নেটিজেন ও পরে সাংবাদিকেরা বের করে ফেলেন, এই ছাগলের ক্রেতা এনবিআরের একজন কর্মকর্তার ছেলে। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত দাম দিয়ে একটি ছাগল কেনেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মতিউর দাবি করেন, ছাগলের ক্রেতা তাঁর ছেলে নন। পরে অবশ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মতিউরের আরেক স্ত্রী আছেন। সেই ঘরের সন্তান ছাগলের ক্রেতা মুশফিকুর।
‘ছাগল-কাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এখন কারাগারে