মরিয়ম (আ.)-এর বাবার নাম ইমরান, মায়ের নাম হান্নাহ। তিনি ছিলেন তাঁদের একমাত্র সন্তান। বৃদ্ধ বয়সে হান্নাহের গর্ভে মরিয়মের জন্ম হয়। হান্নাহ সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। একদিন তিনি দেখলেন, একটি পাখি তার বাচ্চাকে খাবার খাওয়াচ্ছে।
এ দৃশ্য তাঁর মাতৃত্বের তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে আরও উসকে দেয়। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা কবুল করেন। হান্নাহ গর্ভবতী হন এবং মানত করেন, সন্তান জন্মালে তাঁকে মসজিদুল আকসার সেবক হিসেবে উৎসর্গ করবেন।
হান্নাহের মেয়েসন্তান জন্ম নেয়। নাম রাখা হয় মরিয়ম, যার সুরিয়ানি ভাষায় অর্থ ‘খাদেম’ বা ‘সেবক’। মানত অনুযায়ী, মসজিদুল আকসায় সেবক হিসেবে উৎসর্গের জন্য এ নাম ছিল যথার্থ। (ফাতহুল বারি, আল্লামা আসকালানী, ৬/৩৬৫)
মরিয়ম (আ.
হজরত জাকারিয়া (আ.) ছিলেন মরিয়মের খালা ইয়াশির স্বামী এবং একজন নবী, তাই তাঁর চেয়ে উপযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক আর কেউ ছিলেন না। কিন্তু তত্ত্বাবধান নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মীমাংসার জন্য লটারির আয়োজন করা হয়।
সেকালে লটারি হতো কলমের মাধ্যমে। প্রত্যেকে তাওরাত লেখার কলম পানিতে নিক্ষেপ করেন। যাঁর কলম স্রোতের বিপরীতে চলবে, তিনি বিজয়ী হবেন। সবার কলম স্রোতে ভেসে যায়, কিন্তু জাকারিয়া (আ.)-এর কলম স্রোত উপেক্ষা করে উল্টো দিকে চলে।
কলম স্রোত উপেক্ষা করে উল্টো দিকে চলেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কলমের অলৌকিক উল্টো যাত্রা
মরিয়ম (আ.)-এর বাবার নাম ইমরান, মায়ের নাম হান্নাহ। তিনি ছিলেন তাঁদের একমাত্র সন্তান। বৃদ্ধ বয়সে হান্নাহের গর্ভে মরিয়মের জন্ম হয়। হান্নাহ সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। একদিন তিনি দেখলেন, একটি পাখি তার বাচ্চাকে খাবার খাওয়াচ্ছে।
এ দৃশ্য তাঁর মাতৃত্বের তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে আরও উসকে দেয়। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা কবুল করেন। হান্নাহ গর্ভবতী হন এবং মানত করেন, সন্তান জন্মালে তাঁকে মসজিদুল আকসার সেবক হিসেবে উৎসর্গ করবেন।
হান্নাহের মেয়েসন্তান জন্ম নেয়। নাম রাখা হয় মরিয়ম, যার সুরিয়ানি ভাষায় অর্থ ‘খাদেম’ বা ‘সেবক’। মানত অনুযায়ী, মসজিদুল আকসায় সেবক হিসেবে উৎসর্গের জন্য এ নাম ছিল যথার্থ। (ফাতহুল বারি, আল্লামা আসকালানী, ৬/৩৬৫)
মরিয়ম (আ.) বড় হন এবং বুদ্ধি-বিবেচনার বয়সে পৌঁছান। তখন প্রশ্ন ওঠে, পবিত্র উপাসনাগৃহের এই আমানত কার হাতে অর্পণ করা হবে? তৎকালীন প্রথা অনুযায়ী, কাহিনরা (উপাসনাগৃহের ধর্মীয় সেবায় নিয়োজিত পবিত্র আত্মারা) মরিয়মের তত্ত্বাবধানের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। (কাসাসুল কোরআন, মাওলানা হিফজুর রহমান, ১০/১৩)
আরও পড়ুনঅলৌকিক উট১৩ এপ্রিল ২০২৫মরিয়ম (আ.) বড় হন এবং বুদ্ধি-বিবেচনার বয়সে পৌঁছান। তখন প্রশ্ন ওঠে, পবিত্র উপাসনাগৃহের এই আমানত কার হাতে অর্পণ করা হবে?হজরত জাকারিয়া (আ.) ছিলেন মরিয়মের খালা ইয়াশির স্বামী এবং একজন নবী, তাই তাঁর চেয়ে উপযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক আর কেউ ছিলেন না। কিন্তু তত্ত্বাবধান নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মীমাংসার জন্য লটারির আয়োজন করা হয়।
সেকালে লটারি হতো কলমের মাধ্যমে। প্রত্যেকে তাওরাত লেখার কলম পানিতে নিক্ষেপ করেন। যাঁর কলম স্রোতের বিপরীতে চলবে, তিনি বিজয়ী হবেন। সবার কলম স্রোতে ভেসে যায়, কিন্তু জাকারিয়া (আ.)-এর কলম স্রোত উপেক্ষা করে উল্টো দিকে চলে।
কলম স্রোত উপেক্ষা করে উল্টো দিকে চলে