বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘‘গত ১০ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ দামে কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনা হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহসহ চামড়া বাজারে পণ্যের চাহিদা তৈরি করতে পারায়।’’

দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের কোথাও চামড়া পচেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ফরিয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনভিজ্ঞতার কারণে কিছু যায়গায় চামড়া নষ্ট হয়েছে, যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।’’

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে নাটোরের চক বৈর্ধ্যনাথ চামড়ার আড়ত পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে জেলার চামড়া ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যদের মধ্যে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হাসনাত, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন ও জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি সায়দার খানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘উৎসব’-এ আমরা কয়েকজন শুধু যোদ্ধা হিসেবে ছিলাম: অপি করিম

দেশীয় শোবিজের সু-অভিনেত্রীদের একজন অপি করিম। সর্বশেষ যৌথ প্রযোজনার ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। দুই বছর পর নতুন সিনেমায় নিয়ে হাজির হয়েছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমার নাম ‘উৎসব’। তানিম নূর পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে এবার ঈদে।

অপি করিম বলেন, ‘একটা সময় শিক্ষকতার কারণে অভিনয়ে কম সময় দিয়েছি। এখন শিক্ষকতা ফুল টাইম করছি না। আমার নিজস্ব একটা ফার্ম আছে সেখানে সময় দেই। ফলে অভিনয়ে বেশি সময় দিতে পারছি। একেক সময় আপনার জীবন বা মনই বলে দেবে কোনটা আপনার করা বেশি জরুরী। সেই জায়গা থেকে এখন অভিনয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টার করছি।’

শুধু অপি করিম নন, জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, জয়া আহসানও আছেন ‘উৎসব’ ছবিতে। আরও আছেন তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, আজাদ আবুল কালামের মতো অভিনেতারাও। অপি করিম বেশ আনন্দিত এমন একটি ছবির মধ্যদিয়ে ফিরতে পেরে।

মঙ্গলবার সিনেমার প্রচারে গিয়ে অপি করিম বললেন, ‘‘উৎসব’ সিনেমাতে নির্মাতা তানিম নূর যেভাবে দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ করতে চাচ্ছিলেন সেটা করতে পেরেছেন। এখানে আমরা কয়েকজন শুধু যোদ্ধা বা সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলাম। এখানে জাহিদ ভাইয়ের কথা না বললেই না। কারণ, আমার মনে হয়, সিনেমার গল্পে তিনি ৯০ দশক থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমাদের সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছেন। বলতে গেলে তিনি আমাদের কানেকশন হাফ।”

নিজের অভিনয় প্রসঙ্গে অপি করিম বলেন, ‘এবার ঈদে যে কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সবগুলোই ভিন্ন ভিন্ন জনরার। তবে বিভিন্ন প্রজন্মের দর্শক আমাদের সিনেমাটি পছন্দ করছেন। আমি এমনিতেই কাজ কম করি। সেই জায়গা থেকে নিজেকে নিয়ে কিছুটা সংসয়েও ছিলাম। দির্ঘদিন অভিনয়ে না থাকায় মনে হয়েছে; দর্শক আমাকে ভুলে গেলো না তো? সিনেমা মুক্তির পর সেটা কেটে গেছে। কারণ, দর্শক আমাকে মনে রেখেছে। আমার জায়গা সেখানেই আছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। একটা কাজ যখন দর্শকের ভালো লাগে তখন আরও কাজ করার আগ্রহ জাগে।’

অপি করিম বলেন, ‘সিনেমা অনেক ধরণ আছে। একেকজন মানুষের একেক রকম সিনেমা পছন্দ। শুধু সিনেমা নয়, দেশের নাটক, ওটিটি কন্টেন্টসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। আমি চাই দর্শক ভালো কন্টেন্টগুলো দেখুক। কারণ, আমরা অনেক কষ্ট করে কাজ করি। দর্শক যদি সেগুলো দেখেন তাহলেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ