শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে রক্তাক্ত দুটি মৃত বিড়ালছানা উদ্ধার
Published: 11th, June 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের তৃতীয় তলার শৌচাগার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুটি মৃত বিড়ালছানা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।
হলের কর্মকর্তা, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে হলের তৃতীয় তলায় দায়িত্বরত একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুরোনো ব্লকের শৌচাগারের ভেতরে বিড়ালছানা দুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তিনি বিড়ালছানা দুটি উদ্ধার করেন। পরে আরেকজন নিরাপত্তাকর্মী বিড়ালছানা দুটির ছবি হলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠান। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তাঁদের ধারণা, রাতে বিড়ালছানা দুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
হলের দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবারও চারতলা থেকে একটি রক্তাক্ত বিড়ালছানা উদ্ধার করা হয়। এই বিড়ালছানার গলার কিছু অংশ রক্তাক্ত ছিল। তবে আজ উদ্ধার করা ছানা দুটির গলায় ছুরির আঘাত ছিল না। রক্তাক্ত বিড়ালছানা দুটিকে হলের পাশে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জানান।
হলের তৃতীয় তলার শৌচাগারে গিয়ে দেখা যায়, যে স্থান থেকে বিড়ালছানাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের ছাপ। তবে কোনো প্রাণী কিংবা মানুষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। ঈদের ছুটি থাকায় হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে অবস্থান করেছেন। তাই বিষয়টি অনেকের মনে সন্দেহের উদ্রেক করেছে। কেউ কেউ ভীষণ মর্মাহত হয়েছেন।
বিষয়টি জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু ইয়াহিয়া লিখেছেন, ‘দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে এই কাজ করেছে, আমরা তার বিচার চাই।’ মমিনুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘খুবই দুঃখজনক। তবে মানুষ না অন্য কিছু এ রকম করেছে, দেখুন। অনেক সময় উলা বিড়াল এভাবে কামড়িয়ে মেরে ফেলে।’
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা মানুষে করেনি। বিড়ালছানা দুটির গলায় কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী মর্মাহত হয়েছে। হলের প্রাণীদের নিরাপত্তায় বিশেষ সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রক ত ক ত ত কর ম ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
কোন দেশের খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে বেশি খরচ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ধনী ফুটবল প্রতিযোগিতা। দলবদলের প্রতি মৌসুমেই খেলোয়াড় কেনায় কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করে এই লিগের ক্লাবগুলো। প্রশ্ন হলো, কোন দেশের খেলোয়াড়দের দলবদল ফি হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো?
ট্রান্সফারমার্কেট উত্তর খুঁজে বের করেছে। ১৯৯২–৯৩ মৌসুমে যাত্রা শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ। তার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন দেশের খেলোয়াড়দের দলবদল ফি হিসেবে লিগের দলগুলো সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে, আসুন জেনে নিই—
প্রিমিয়ার লিগ যেহেতু ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাই এ লিগে সবচেয়ে বেশি খেলায় (গত জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭২৩ জন) উত্তর শুনে অবাক না–ও হতে পারেন। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। গত ৩৩ বছরে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের দলবদল ফিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। অঙ্কটাও বেশ বড়—৬৭১ কোটি ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ৯৫ হাজার ৬০ কোটি টাকা!
আরও পড়ুনসুপার ব্যালন ডি’অর ফিরলে জিততে পারেন কে, মেসি না রোনালদো১১ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের পরই এ তালিকায় দ্বিতীয় তাদের প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্স। ফরাসি খেলোয়াড়দের দলবদলে এখন পর্যন্ত ২৬৮ কোটি ইউরো (প্রায় ৩৭ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা) খরচ করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
যে দেশের খেলোয়াড়দের দলবদলে সবচেয়ে বেশি খরচ (শীর্ষ ১০)তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দেশের খেলোয়াড়দের জন্য এ পর্যন্ত ২২৮ কোটি ইউরো (প্রায় ৩২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা) খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
শীর্ষ পাঁচে আর্জেন্টিনার জায়গা হয়নি। চারে স্পেন ও পাঁচে নেদারল্যান্ডস। স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের জন্য ২০২ কোটি ইউরো (প্রায় ২৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা) এবং ডাচ খেলোয়াড়দের জন্য ১৬১ কোটি ইউরো (প্রায় ২২ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা) খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
আরও পড়ুনপোল্যান্ড কোচের পদত্যাগ, ‘যুদ্ধ’ জিতলেন লেভা১৫ ঘণ্টা আগে