সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের তৃতীয় তলার শৌচাগার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুটি মৃত বিড়ালছানা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।

হলের কর্মকর্তা, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে হলের তৃতীয় তলায় দায়িত্বরত একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুরোনো ব্লকের শৌচাগারের ভেতরে বিড়ালছানা দুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তিনি বিড়ালছানা দুটি উদ্ধার করেন। পরে আরেকজন নিরাপত্তাকর্মী বিড়ালছানা দুটির ছবি হলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠান। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তাঁদের ধারণা, রাতে বিড়ালছানা দুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

হলের দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবারও চারতলা থেকে একটি রক্তাক্ত বিড়ালছানা উদ্ধার করা হয়। এই বিড়ালছানার গলার কিছু অংশ রক্তাক্ত ছিল। তবে আজ উদ্ধার করা ছানা দুটির গলায় ছুরির আঘাত ছিল না। রক্তাক্ত বিড়ালছানা দুটিকে হলের পাশে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জানান।

হলের তৃতীয় তলার শৌচাগারে গিয়ে দেখা যায়, যে স্থান থেকে বিড়ালছানাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের ছাপ। তবে কোনো প্রাণী কিংবা মানুষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। ঈদের ছুটি থাকায় হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে অবস্থান করেছেন। তাই বিষয়টি অনেকের মনে সন্দেহের উদ্রেক করেছে। কেউ কেউ ভীষণ মর্মাহত হয়েছেন।

বিষয়টি জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু ইয়াহিয়া লিখেছেন, ‘দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে এই কাজ করেছে, আমরা তার বিচার চাই।’ মমিনুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘খুবই দুঃখজনক। তবে মানুষ না অন্য কিছু এ রকম করেছে, দেখুন। অনেক সময় উলা বিড়াল এভাবে কামড়িয়ে মেরে ফেলে।’

সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা মানুষে করেনি। বিড়ালছানা দুটির গলায় কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী মর্মাহত হয়েছে। হলের প্রাণীদের নিরাপত্তায় বিশেষ সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রক ত ক ত ত কর ম ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো–বেকহামের জার্সি তৈরি কেন বন্ধ করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ডেভিড বেকহাম ও এরিক ক্যান্টোনার নাম প্রিন্ট করে জার্সি তৈরি করা বন্ধ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সম্প্রতি ক্লাবটির অফিশিয়াল মেগা স্টোরে এই তিন ক্লাব কিংবদন্তির জার্সি কিনতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন কিছু ভক্ত।

এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবের তিন সাবেক খেলোয়াড়ের জার্সি তৈরি বন্ধ করার কারণ ব্যাখ্যা করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

রোনালদো, বেকহাম ও ক্যান্টোনা ইউনাইটেডের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম। এখনো ইউনাইটেডের ভক্তদের কাছে তাঁরা তুমুল জনপ্রিয়। প্রতি মৌসুমে নতুন জার্সি এলে এই কিংবদন্তিদের নাম ও নম্বর লেখা জার্সি সংগ্রহ করেন ভক্তরা।

আরও পড়ুনরোনালদো না এমবাপ্পে, রিয়ালে প্রথম মৌসুমে কে বেশি ভালো২৬ জুলাই ২০২৫

এবারও ইউনাইটেডের ২০২৫-২৬ মৌসুমের হোম ও অ্যাওয়ে জার্সি বাজারে আসার পর ভক্তদের মধ্যে নতুন জার্সি সংগ্রহের উন্মাদনা শুরু হয়। সাইমন লয়েড ছিলেন এমনই এক ভক্ত, যিনি মেগা স্টোরে নতুন জার্সি কিনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।

ডেভিড বেকহাম যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ