ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী তাকওয়া মসজিদের সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় টেন্ডারে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। গরুর চামড়া প্রতিটি ১ হাজার ৩৭২ টাকা বিক্রি হয়। তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির আয়োজনে এই টেন্ডারে ৮৫৩টি চামড়া বিক্রি হয়। এই টাকা মসজিদের যাকাত ফান্ডে জমা হবে, যা এতিম ও দুস্থ মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে। 

বুধবার (১১ জুন)  সন্ধ্যায় তাকওয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে টেন্ডারে অংশ নেয় স্থানীয় পাঁচটি চামড়া ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। সর্বোচ্চ দামে চামড়া কেনে ইমেক্স লেদার লিমিটেড। তাদের দেয়া দাম ১ হাজার ৩৭২ টাকা।

এ বছর সরকার ঢাকায় প্রতিটি চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। টেন্ডারে বিক্রি করে পাওয়া দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২২ টাকা বেশি।

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটি কাটিয়ে স্বস্তিতে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ 

ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ পশু কোরবানি

তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির সহকারী ম্যানেজার হাসান সরিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘চামড়ার দাম বৃদ্ধি আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই অর্থ মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। মসজিদের আয় বৃদ্ধি পেলে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরো বেশি বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘যেভাবে তাকওয়া মসজিদ সোসাইটি এবারে কোরবানির চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করেছে, এটা অন্য মাদ্রাসা ও মসজিদ আগামীতে অনুসরণ করতে পারে। যদি কেউ প্রয়োজন মনে করে তাহলে যোগাযোগ করলে আমরা আগামীতে তাদের সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ।’’

স্থানীয় চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির টেন্ডারকে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ‘‘তাকওয়া মসজিদের এই টেন্ডার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির দৃষ্টান্ত হতে পারে।’’

ঢাকা/এএএম/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ র ত কওয়

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ