তাকওয়া মসজিদের চামড়া নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি
Published: 12th, June 2025 GMT
ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী তাকওয়া মসজিদের সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় টেন্ডারে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। গরুর চামড়া প্রতিটি ১ হাজার ৩৭২ টাকা বিক্রি হয়। তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির আয়োজনে এই টেন্ডারে ৮৫৩টি চামড়া বিক্রি হয়। এই টাকা মসজিদের যাকাত ফান্ডে জমা হবে, যা এতিম ও দুস্থ মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে।
বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় তাকওয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে টেন্ডারে অংশ নেয় স্থানীয় পাঁচটি চামড়া ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। সর্বোচ্চ দামে চামড়া কেনে ইমেক্স লেদার লিমিটেড। তাদের দেয়া দাম ১ হাজার ৩৭২ টাকা।
এ বছর সরকার ঢাকায় প্রতিটি চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। টেন্ডারে বিক্রি করে পাওয়া দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২২ টাকা বেশি।
আরো পড়ুন:
ঈদের ছুটি কাটিয়ে স্বস্তিতে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ
ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ পশু কোরবানি
তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির সহকারী ম্যানেজার হাসান সরিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘চামড়ার দাম বৃদ্ধি আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই অর্থ মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। মসজিদের আয় বৃদ্ধি পেলে ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরো বেশি বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যেভাবে তাকওয়া মসজিদ সোসাইটি এবারে কোরবানির চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করেছে, এটা অন্য মাদ্রাসা ও মসজিদ আগামীতে অনুসরণ করতে পারে। যদি কেউ প্রয়োজন মনে করে তাহলে যোগাযোগ করলে আমরা আগামীতে তাদের সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ।’’
স্থানীয় চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা তাকওয়া মসজিদ সোসাইটির টেন্ডারকে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ‘‘তাকওয়া মসজিদের এই টেন্ডার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির দৃষ্টান্ত হতে পারে।’’
ঢাকা/এএএম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ র ত কওয়
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।
বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।