ফাঁসির রায় হয়েছিল, ভয় পাইনি: আজহারুল
Published: 12th, June 2025 GMT
কারামুক্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “মিথ্যা মামলায় কারাবরনের মধ্যদিয়ে আমার মুখ বন্ধ করে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। ফাঁসির রায়ও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতেও ভয় পাইনি। এখন মুক্ত বাংলাদেশে সত্যের পক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলে বাকি জীবনটা ন্যায়পূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাব।”
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জে শুকরানা সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, “১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধচারণের মূল্য সবাইকে দিতে হয়েছে। ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। শকুনের মতো কিছু শক্তি দেশ দখলের জন্য ওঁৎ পেতে আছে। তাদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি বলেন, “বিগত সময়ে যেসব আলেম-ওলামাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তা অন্যায়ভাবে হয়েছে। তাই ওইসব রায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
আজহার অভিযোগ করে বলেন, “মিথ্যা স্বাক্ষ্য আর বিচারপতিরা বিবেক বিক্রি করে অপরাধের নাটক সাজিয়ে আমাকে সাজা দিয়েছিলেন। এখন মুক্ত দেশে অপরাধের এসব সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে সংস্কার পরবর্তী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কবে জানি না। তবে যদি আগামী এপ্রিলের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন হয়, তবে আমরা চাই ওই এপ্রিলের মধ্যেই যেন নির্বাচনের কাজ শুরু হয়। এবারের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্যদের ক্ষমতায় আনতে হবে।”
সেসময় নিজ সংসদীয় আসন বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতি জানান সদ্য কারামুক্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম।
পুনর্মিলনী ও শুকরানা সমাবেশে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালনা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর আমীর এটিএম আজম খান, জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। সেসময় থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।
শেষবার গ্রেপ্তারের আগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রংপুরের বদরগঞ্জ এলাকায় এসেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১৪ বছর পর তিনি নিজের গ্রামের বাড়ি ফিরেছেন। তার নিজ সংসদীয় আসন বদরগঞ্জে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি রেখেছেন কর্মী সমর্থকরা।
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজহ র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফাঁসির রায় হয়েছিল, ভয় পাইনি: আজহারুল
কারামুক্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “মিথ্যা মামলায় কারাবরনের মধ্যদিয়ে আমার মুখ বন্ধ করে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। ফাঁসির রায়ও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতেও ভয় পাইনি। এখন মুক্ত বাংলাদেশে সত্যের পক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলে বাকি জীবনটা ন্যায়পূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাব।”
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জে শুকরানা সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, “১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধচারণের মূল্য সবাইকে দিতে হয়েছে। ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। শকুনের মতো কিছু শক্তি দেশ দখলের জন্য ওঁৎ পেতে আছে। তাদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি বলেন, “বিগত সময়ে যেসব আলেম-ওলামাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তা অন্যায়ভাবে হয়েছে। তাই ওইসব রায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
আজহার অভিযোগ করে বলেন, “মিথ্যা স্বাক্ষ্য আর বিচারপতিরা বিবেক বিক্রি করে অপরাধের নাটক সাজিয়ে আমাকে সাজা দিয়েছিলেন। এখন মুক্ত দেশে অপরাধের এসব সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে সংস্কার পরবর্তী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন কবে জানি না। তবে যদি আগামী এপ্রিলের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন হয়, তবে আমরা চাই ওই এপ্রিলের মধ্যেই যেন নির্বাচনের কাজ শুরু হয়। এবারের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্যদের ক্ষমতায় আনতে হবে।”
সেসময় নিজ সংসদীয় আসন বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতি জানান সদ্য কারামুক্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম।
পুনর্মিলনী ও শুকরানা সমাবেশে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালনা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর আমীর এটিএম আজম খান, জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। সেসময় থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।
শেষবার গ্রেপ্তারের আগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রংপুরের বদরগঞ্জ এলাকায় এসেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১৪ বছর পর তিনি নিজের গ্রামের বাড়ি ফিরেছেন। তার নিজ সংসদীয় আসন বদরগঞ্জে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি রেখেছেন কর্মী সমর্থকরা।
ঢাকা/আমিরুল/এস