কুষ্টিয়ায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
Published: 12th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা দোকানঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া সড়কের ওপর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বাজার, পান্টি গোলাবাড়ি মোড়, নওশের মোড় এবং ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
এলাকাবাসী জানান, পান্টি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করছিলেন স্থানীয় জলিল শেখের ছেলে জামাল উদ্দিন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ঘর ভেঙে তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরো পড়ুন:
কাপাসিয়ায় পলিথিন কারখানা সিলগালা, মালিককে কারাদণ্ড
অবৈধভাবে মধুমতির বালু উত্তোলন, জরিমানা আদায়
পান্টি গোলাবাড়ি মোড়, নওশের মোড় এবং ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় এলাকায় সড়ক দখল করে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন কিছু ব্যক্তি। এতে সড়ক সরু হয়ে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, “সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা দোকানঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে একজনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সড়কের ওপর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট: ‘মৃত’ নন জীবিত এমন ১৫ জনকে হাজির করলে ব্যবস্থা
বিহারে খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ চিহ্নিত ১৫ জন জীবিতকে হাজির করাতে পারলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ব্যবস্থা নেবেন। বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলাকারীদের আইনজীবীদের এ আশ্বাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচী এ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া দেওয়া হলে তাঁরা অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আবেদনকারীদের উদ্দেশে দুই বিচারপতি বলেছেন, প্রক্রিয়ায় অনিয়ম বা ত্রুটি পাওয়া গেলে অবশ্যই তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।
মামলাকারীদের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য খসড়া ভোটার তালিকা পেশ করার ওপর স্থগিতাদেশ দেননি। তবে ইসিকে তাঁরা বলেছেন, তাদের কাজ গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া নয়। তাদের দেখা উচিত যাতে গণহারে ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা যায়।
এসআইআর–প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভোটার তালিকা সংশোধনের পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ আগস্ট। সে লক্ষ্যেই ইসি এগিয়ে চলেছে। ইসি সূত্রে খবর, নিবিড় সংশোধনপ্রক্রিয়ার পর প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ৬৫ লাখেরও বেশি নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২২ জন ‘মৃত’, ৩৬ লাখ ‘নিখোঁজ’। এ ছাড়া বেশ কয়েক লাখ ভোটারের নাম বিভিন্ন এলাকার তালিকায় রয়েছে। অর্থাৎ একই ভোটার অন্তত দুই জায়গায় নথিভুক্ত। আগের তালিকা অনুযায়ী বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লাখ। ইসির দাবি, এই তালিকায় বহু ভোটার ভুয়া। তাদের বাদ দিতেই এই নিবিড় সংশোধন।
যে প্রক্রিয়ায় এই খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, মামলাকারীদের আপত্তি তা নিয়েই। তাঁদের অভিযোগ, ইসি যেভাবে নাগরিকত্বের যাচাই করছে, সে জন্য যেসব নথি পেশ করতে বলা হচ্ছে, তা বহু ক্ষেত্রে সম্ভবপর নয়। তেমন করা তাদের কাজও নয়। সেই কাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে বহু দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ভোটাধিকার ইসি কেড়ে নিচ্ছে।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বাল ও প্রশান্ত ভূষণকে আশ্বস্ত করে বিচারপতিরা বলেন, কমিশনের ত্রুটি–বিচ্যুতি দেখলে তাঁরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। ভোটার প্রমাণে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডকে নথি হিসেবে গ্রাহ্য করার সুপারিশ বিচারপতিরা জোরের সঙ্গে করেছেন। এই দুই নথি জাল করা সহজ বলে ইসির দাবি নস্যাৎ করে বিচারপতিরা বলেছেন, যে ১১টি নথির ওপর নির্ভর করে তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেগুলোর প্রতিটিই জাল করা সম্ভব। কপিল সিব্বাল ও প্রশান্ত ভূষণকে বিচারপতিরা বলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ অথচ আসলে জীবিত, এমন ১৫ জনকে আপনারা হাজির করুন। আমরা ব্যবস্থা নেব।
আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে ৮ আগস্টের মধ্যে মামলাকারীদের বক্তব্য লিখিতভাবে আদালতে পেশ করতে হবে।