জরাজীর্ণ রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত, পাকাকরণের দাবি
Published: 12th, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার রাস্তাটির এক কিলোমিটার অংশ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন এলাকাবাসী। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এ গ্রামের পাশেই ঐতিহ্যবাহী কেওলার হাওর। গ্রামটি নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.
ডান পাশ হয়ে রফিক মেম্বারের বাড়ির সামনে
দিয়ে রুপসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
দিকে যাওয়া রাস্তাটি গ্রামবাসীর কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন।
গ্রামের কয়েক বাসিন্দা জানান, বর্ষার সময় অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমে থাকে। যার কারণে অন্তঃসত্ত্বা, রোগী ও বৃদ্ধদের এ রাস্তা দিয়ে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত আওয়ামী সরকারের আমলে জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও রাস্তাটি পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
৩ নম্বর মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, তিনি রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য চেষ্টা করছেন। গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে আপাতত মাটি ও ইট দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করে দিয়েছেন।
বুধবার সকালে সরেজমিন মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার কাজ করছেন। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট গর্ত ও কাদায় একাকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান সমকালকে জানান, বেহাল রাস্তাটির বিষয়ে তারা অবগত আছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক করণ র
এছাড়াও পড়ুন:
জরাজীর্ণ রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত, পাকাকরণের দাবি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার রাস্তাটির এক কিলোমিটার অংশ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন এলাকাবাসী। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এ গ্রামের পাশেই ঐতিহ্যবাহী কেওলার হাওর। গ্রামটি নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. দুরুদ মিয়া সমকালকে জানান, রুপসপুর বন্দরবাজারের উত্তর পাশে মধ্য রুপসপুর গ্রামের মাহমুদ মিয়ার বাড়ি। এ বাড়ির
ডান পাশ হয়ে রফিক মেম্বারের বাড়ির সামনে
দিয়ে রুপসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
দিকে যাওয়া রাস্তাটি গ্রামবাসীর কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন।
গ্রামের কয়েক বাসিন্দা জানান, বর্ষার সময় অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমে থাকে। যার কারণে অন্তঃসত্ত্বা, রোগী ও বৃদ্ধদের এ রাস্তা দিয়ে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত আওয়ামী সরকারের আমলে জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও রাস্তাটি পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
৩ নম্বর মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, তিনি রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য চেষ্টা করছেন। গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে আপাতত মাটি ও ইট দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করে দিয়েছেন।
বুধবার সকালে সরেজমিন মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার কাজ করছেন। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট গর্ত ও কাদায় একাকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান সমকালকে জানান, বেহাল রাস্তাটির বিষয়ে তারা অবগত আছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।