নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন: ডিসিসিআইয়ের সভাপতি
Published: 13th, June 2025 GMT
জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমঝোতা হওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচিত সরকার এলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন। তাঁরা নতুন বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা শুরু করবেন।
লন্ডনে আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কথাগুলো বলেন।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠক শেষে দুই পক্ষের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এই বৈঠকের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময় ব্যবসা ও রাজনীতিকে আলাদা রাখতে চাই। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ দরকার। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশটাও ঠিক থাকে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি চাপে আছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের কারণে সংকট আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেই শঙ্কা কিছুটা দূর হয়েছে।
তাসকিন আহমেদ আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, অর্থনীতিকে বেগবান করতে কার্যকর উদ্যোগ নিন। প্রথমেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করুন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, অবাধে হামলার ঘোষণা ইসরায়ে
ইসরায়েল গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও।
ইসরায়েল তেহরানে হামলা চালিয়ে একাধিক বিমানঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির এবং ইসরায়েলি বিমান বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল টমার বার আজ শনিবার সকালে প্রকাশিত এক মূল্যায়নে বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে ‘তেহরানে হামলার পথ প্রশস্ত করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন:
দূরদেশে তারকাদের ঈদ
মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, “পরিকল্পনা অনুসারে, বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো এবার তেহরানের লক্ষ্যবস্তুতে বড় হামলা চালানো শুরু করবে।”
গতকাল রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছিল আইডিএফ। এরপর দেশটির সামারিক বাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন এই বিবৃতি এলো।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করায় দেশটির রাজধানীতে বিমান হামলার স্বাধীনতা এখন আরো বেশি।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস পরিচালিত ফারস সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ইসরায়েলের দুটি প্রজেক্টাইল তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। ইরানি সংবাদ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, বিমানবন্দরে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থাপনাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত এই বিমানবন্দরটিতে যুদ্ধবিমান ও পরিবহন বিমানসহ একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় বিমানঘাঁটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি দাবি করেছে ইরান।
ঢাকা/ফিরোজ