অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে রাতে একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়‌কের ১৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। 

শুক্রবার (১৩ জুন) দিবাগত মাঝরাত থেকে যমুনা সেতুর টোল প্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত থেমে থেমে এই যানজটের সৃষ্টি হ‌চ্ছে। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের খুব কষ্ট হচ্ছে। 

আশুলিয়ার হেকমত মিয়া বলেন, ‘‘দুই ঘণ্টা যাবত পৌলিতে আটকে আছি। রোদ না থাকলেও ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদের পরে কখনো যানজট হয়নি। এবারই প্রথম।’’ 

বাসের নারী যাত্রী হেনা বেগম বলেন, ‘‘আমি রাজশাহী যাবো। যানজটে আমার শিশু সন্তান নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যানজটে আছে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে।’’  

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি মো.

শরিফ জানান, যানবাহনের চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়‌কে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

ঢাকা/কাওছার/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

২৫ বছর পরও অক্ষত মর‌দেহ!

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দাফনের প্রায় ২৫ বছর পর এক‌টি মর‌দেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে এলাকায় এক চাঞ্চল্যের সৃ‌ষ্টি হ‌য়। 

শনিবার দুপরে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় ফকিরের হাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার নির্মাণকাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানা গে‌ছে, সরকারি অর্থায়নে ফকিরেরহাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার এক‌টি ভবন নির্মাণের করার জন্য মাদরাসার মাঠের মাটি ভেক্যু দিয়ে খনন করা হচ্ছিল। এ সময় খনন করা জায়গায় মাটি ভেঙে পড়লে সেখানে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশটি বের হয়ে আসে। বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শে সেখান থেকে মরদেহটি তুলে নিয়ে ফকিরের হাট এলাকার মসজিদের পাশে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় বা‌সিন্দারা জানান, মৃত ব্যক্তির নাম বাহের আলী। তি‌নি খারুয়ার পাড় গ্রামের আতিম শেখের ছেলে। আতিম শেখ ওই মাদরাসার জমিদাতা ছিলেন এবং তিনি ওই মাদরাসার কর্মরত ছি‌লেন। প্রায় ২৫ বছর আগে মারা গে‌লে মাদসার পেছনে তাকে দাফন করা হয়েছিল।

এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চিলমারী মডেল মসজিদের খতিব মামুনুর রশীদ বলেন, হাদিস ও নবী রাসূলদের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে জানা যায় যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও শহীদী মর্যাদা লাভ করেন তাদের লাশ অক্ষত অবস্থায় থাকে। তবে অক্ষত থাকলেই শতভাগ প্রিয় বান্দা হবে সেটিও নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ