পর্তুগালের লিসবন শহরের আলমাদায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মাহবুবুল আলম নামে সিলেটের এক যুবক। পর্তুগাল সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘জামিলা মিনিমার্কাদো’তে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুবুল আলম সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নান্না মিয়ার ছেলে। তিনি কয়েক বছর ধরে পর্তুগালের লিসবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী মাহবুবুল আলমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করার সময় বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় মাহবুবুলকে লক্ষ্য করে। তারা মাহবুবুল আলমের বুকে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে মৃত উদ্ধার করে। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

হত্যাকাণ্ড ঘিরে পর্তুগালের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিও জোরালো হয়ে উঠেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ত গ ল গ ল ত ন হত পর ত গ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ