ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও আইওই (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ কে এম আফতাব উল ইসলামের ৯৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আফতাব বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ মো.

জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুদক লিখিতভাবে আদালতের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক আফতাবের ৯৪টি ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তাঁর ৯৪টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

দুদক আদালতের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে যে আফতাব অপরাধলব্ধ অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলন, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ না করা গেলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বলে আদালতকে জানায় দুদক।

শুনানি নিয়ে আদালত আফতাবের এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হন আফতাব। তিনি আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) সাবেক সভাপতি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক হ স ব অবর দ ধ আফত ব

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: বাসচালকের সহযোগী গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। লিটন মামলার প্রধান আসামি বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহযোগী (হেলপার)। 

সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯। আসামি লিটন (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে.এম শহিদুল ইসলাম জানান, সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাব্বির মিয়াকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

গত রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে একটি চলন্ত বাসে চালক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরদিন নবীগঞ্জ থানায় মামলা করে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই ছাত্রী রোববার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় সে মৌলভীবাজারের শেরপুর স্টপেজে নামে। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি লোকাল বাসে উঠে বাড়ি ফেরার সময় আউশকান্দি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় একা পেয়ে বাসচালক সাব্বির ও হেলপার লিটন চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে তিনতালাব এলাকায় স্থানীয়রা বাসটি আটক করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় স্থানীয়রা চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে লিটন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। 

মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ