বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলায় কোস্টগার্ড স্টেশনে হামলা চালিয়েছে জেলেরা। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলেরা কোস্টগার্ডের একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলেরা কোস্টগার্ড স্টেশন ঘিরে রেখেছেন। ভেতরে অবরুদ্ধ কোস্টগার্ড সদস্যরা। নৌ-বাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে অবৈধ দুটি ট্রলার আটক করে কোস্টগার্ড। এর প্রতিবাদে পাঁচ শতাধিক জেলে সন্ধ্যা থেকে কোস্টগার্ড  স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেন। রাত ৯টার দিকে তারা কোস্টগার্ডের দুটি যানবাহন ভাঙচুর করে। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করেন। পরে জেলেদের সঙ্গে মৎস্য ব্যবসায়ীরা অংশ নিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

আটক দুটি ট্রলারের মালিক ও জেলা টলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম কোম্পানি বলেন, ‘সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ১১ জুন। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রতি ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে কোস্টগার্ডকে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আবারও টাকা চাওয়া হচ্ছে। যেসব টলার মালিক টাকা দেয়নি তাদের তালিকা চাচ্ছিল মাসুম কোম্পানির কাছে।  তিনি রাজি না হওয়ায় তার বৈধ চলার অবৈধ আখ্যা করে আটক করেছে।’

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে  নৌ-বাহিনী পৌঁছেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরগ ন পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ