বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ হাসপাতালে যাবেন। 

সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। বিএনপির এক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। টানা ১৭ দিন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন। পরে দীর্ঘ চার মাস পর দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমানসহ গত ৬ মে লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফেরেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যাঁরা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তাঁরা ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, যাঁরা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তাঁরা মূলত ফ্যাসীবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁর দল এনসিসি গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানায়। তবে গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁদের দ্বিমত রয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের বিরতিতে তিনি এ কথা বলেন।

যাঁরা এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিকল্প প্রস্তাব পেশ করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, আপনারা কি আগের ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান? মানবাধিকার কমিশন থাকার পরও বিগত ১৬ বছরে তারা কোনো কথা বলেনি। দুদক ও নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যক্রমে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। কারণ, তারা একটি দল ও ব্যাক্তির আজ্ঞাবহে পরিণত হয়েছিল।’

এনসিপির এই নেতা জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এনসিসি গঠনের বিষয়ে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান।

এনসিসি গঠনকে ক্ষমতার ভারসাম্য হিসেবে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের অসম ক্ষমতা হ্রাস করতেই আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। তাই আমরা এনসিসি গঠনের পক্ষে মত দিয়েছি। তবে এখানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগের ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। পাশাপাশি এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখা উচিত নয়। এটা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ