মৃত্যুর পাঁচ বছর কেটে গেলেও বলিউড সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল সুশান্ত সিং রাজপুত। এবার রুপালি পর্দায় দেখা যাবে ধোনির বায়োপিকে অভিনয় করে সাড়া ফেলা সুশান্তের বায়োপিক! এমনটাই দাবি করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনাট্য রচয়িতা ও পরিচালক রুমি জাফরি।

এরই মধ্যে তিনি সুশান্ত ও তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী প্রেমকাহিনী ফুটে তোলার চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন। এতে প্রয়াত অভিনেতার চরিত্রে ‘জিগরা’ ছবির বেদাঙ্গ রায়না আছেন নির্মাতার প্রথম পছন্দের তালিকায়।

২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা ভারত। সেই বছরের আগস্ট মাসে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই মামলার তদন্তে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয় অনেককে। যাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই। সেই থেকেই চর্চায় ছিল রিয়া-সুশান্তের প্রেম। সেই প্রেমকাহিনিই এবার পর্দায় ‘জীবন্ত’ করতে চাইছেন রুমি।

সম্প্রতি একটি সম্মেলনে রিয়া বলেন, ‘আমার এখনও মনে হয় সুশান্ত বুঝি আমার আশপাশেই রয়েছে। ওর সঙ্গটাই ছিল আনন্দে ভরা ও জীবনরসে পরিপূর্ণ। ও এতটাই ছটফটে ছিল বলার নয়। এক মিনিটও চুপ করে বসতে পারত না! ও সারাক্ষণ কথা বলত। রিয়া ওর পাশে পাশে হাঁটত, ওকে থামানোর চেষ্টা করত। সুশান্ত জীবিত থাকার সময় থেকেই আমার ইচ্ছে করত ওদের প্রেমকাহিনি নিয়ে সিনেমা করি। রিয়ার জন্য সুশান্তের প্রেম সাধারণ কোনও ভালোবাসা নয়। অন্যদিকে রিয়া সুশান্তের জন্য প্রাণও দিতে পারত।’

এবার সেই প্রেমকাহিনিই পর্দায় ফেরাতে উন্মুখ গোবিন্দা-ডেভিড ধাওয়ানের সুপারহিট সব ছবির গল্প রচয়িতা রুমি। কিন্তু পর্দায় সুশান্তের ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে?

রুমি জানিয়েছেন, ‘জিগরা’ ছবির বেদাঙ্গ রায়নাকেই তিনি চাইছেন প্রয়াত অভিনেতার ভূমিকায়। শেষপর্যন্ত এই সিনেমা নির্মাণ হলে তা নতুন করে টিনসেল টাউনের নতুন জোয়ার আনবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর দ য়

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।

শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’

কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ