ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করতে বিভিন্ন বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছ রোপণ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সামাজিক সংগঠন ‘উন্নত মম শির’।

বুধবার (১৮ জুন) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ রোপণ করেন সংগঠনটির সদস্যরা।

এ বিষয়ে সংগঠনটির আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ বলেন, “প্রকৃতি আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, অক্সিজেন সরবরাহ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। সেই উপলব্ধি থেকেই উন্নত মম শির শুরু থেকেই যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে।”

আরো পড়ুন:

‎‘তরুণদের মাধ্যমে আইসিটিতে বাংলাদেশ ভালো অবস্থান তৈরি করবে’

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, “শুধু গাছ লাগানোই নয়, পূর্বে রোপণ করা গাছগুলোর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমেই একটি সবুজ ও প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা সম্ভব—এ বিশ্বাস আমাদের। তাই আমরা নিয়মিত গাছের পরিচর্যা, পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার ও গাছের বৃদ্ধির পরিবেশ নিশ্চিত করার কাজ করে চলেছি।”

“আমাদের এই প্রচেষ্টা শুধুই একটি ক্লাবের কর্মসূচি নয়, এটি একটি সচেতনতা, একটি আন্দোলন। আমরা প্রত্যাশা করি, যবিপ্রবির প্রতিটি শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সবুজ উদ্যোগে যুক্ত হবেন এবং নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করবেন,” যুক্ত করেন মাসুম।

জুলাই বিপ্লবের পর থেকে ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকায় বাজার মনিটরিং, বৃক্ষরোপন, সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে সামাজিক সংগঠন উন্নত মম শির। পরবর্তীতে নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লা অঞ্চলে সংঘটিত বন্যার সময়ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় এ সংগঠনের সদস্যদের।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকাবাসীর কাছে ছাত্রদলের অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ

শাহবাগে আগামীকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছাত্র সমাবেশ ঘিরে সৃষ্টি হতে যাওয়া জনদুর্ভোগের জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

শনিবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল। 

বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত জুন মাসে তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। এবং এর শুরুতেই ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার বিষয়ে তাদের জানায়। এ কারণে একটি উদার, গণতান্ত্রিক, পরমতসহিঞ্চু, সকল মত ও পথের সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।  

আরো পড়ুন:

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করায় ছাত্রদল সভাপতিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বললেন উপাচার্য

জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদ

ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে ছাত্রদল অবগত জানিয়ে তারা বিবৃতিতে বলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আগামীকালের যে কোন ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, সম্মানিত নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন। 

দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও অধিকতর সচেতন থাকার কথাও বিবৃতিতে জানানো হয়।  

ঢাকা/রায়হান/ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্র সমাবেশ ঘিরে জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ ছাত্রদলের
  • রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা
  • ঢাকাবাসীর কাছে ছাত্রদলের অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ