রাজধানী মধ্য পীরেরবাগের মানুষ, বিশেষ করে ৬০ ফুট প্রধান সড়ক–সংলগ্ন এলাকার অধিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুতর সমস্যার মুখে পড়েছেন। সড়কটিতে প্রতিদিন অসংখ্য বাসাবাড়ির বর্জ্য অস্থায়ীভাবে ডাম্পিং করা হচ্ছে, যা আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।

এই বর্জ্যগুলো সরাসরি রাস্তায় ফেলে রাখা হয়, যেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং নোংরা পানি রাস্তায় গড়িয়ে পড়ে। যার ফলে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে এবং বয়স্ক ও শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। আশপাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও আবাসিক ভবন থাকায় পরিবেশদূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

‘সড়কটিতে প্রতিদিন অসংখ্য বাসাবাড়ির বর্জ্য অস্থায়ীভাবে ডাম্পিং করা হচ্ছে, যা আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।’.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

কেশবপুরে টিসিবির পণ্য না পেয়ে কার্ডধারীদের রাস্তা অবরোধ

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় নির্ধারিত দিনে টিসিবির পণ্য না পেয়ে যশোর–সাতক্ষীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কার্ডধারীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচির কারণে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগ পোহান যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্টরা।

কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফ্যামিলি কার্ডের অধীনে ১ হাজার ৮০০ কার্ডধারীকে আজ টিসিবির পণ্য দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। এ জন্য তিনটি স্থান নির্ধারণ করে মাইকিং করে জানানো হয়। এর মধ্যে কেশবপুর পৌরসভার ১, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কার্ডধারীদের জন্য শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাফিজ এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আজ সকাল থেকে পণ্য দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে কার্ডধারীরা ভোর থেকেই পণ্য নেওয়ার জন্য লাইন দেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা একটার দিকে হঠাৎ পণ্য দেওয়া বন্ধ করেন পরিবেশক (ডিলার) আবদুল বারিক। তিনি কার্ডধারীদের জানান, ঘাটতি থাকায় আপাতত আর পণ্য দিতে পারবেন না। এ সময় জনরোষের কবলে পড়েন তিনি। পরে তিনি ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ সময় বিক্ষুব্ধ কার্ডধারীরা যশোর–সাতক্ষীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কার্ডধারীদের অভিযোগ, তাঁদের পণ্য না দিয়ে বাইরে এসব পণ্য বিক্রি করেছেন ডিলার।

পরে কেশবপুরের সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের আশ্বস্ত করেন। তাঁর আশ্বাস পেয়ে সড়কটি ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় শরিফ নেওয়াজ বলেন, পণ্য কম থাকায় সবাইকে দেওয়া যায়নি। তবে পরবর্তী সময় সবাইকে পণ্য দেওয়া হবে। তাঁর আশ্বাসে ভুক্তভোগীরা রাস্তা অবরোধ তুলে নেন।

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেকসোনা খাতুন জানান, ওই ডিলার ৬০৫টি কার্ডের পণ্য পেয়েছিলেন। এ কারণে অনেকেই পণ্য পাননি। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সবাইকে পণ্য দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেশবপুরে টিসিবির পণ্য না পেয়ে কার্ডধারীদের রাস্তা অবরোধ