জ্বালানিবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ
Published: 19th, June 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানিবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের আমিন জুট মিল থেকে অক্সিজেন সেকশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরের মধ্যে চলাচলরত শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের কেউ ক্যাম্পাস স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরুর অপেক্ষায় আছেন, আবার কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে সড়কপথে শহরে রওনা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগর থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন ছেড়ে হাটহাজারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
রেলওয়ের ষোলশহর স্টেশনের স্টেশনমাস্টার আরিফুল ইসলাম আজ বেলা তিনটায় প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে হাটহাজারী যাওয়ার পথে জ্বালানিবাহী ট্রেনের একটি ট্যাংক লাইনচ্যুত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করা যায়নি। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বেলা পৌনে দুইটায় উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। জ্বালানিবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতের কারণে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বেলা একটায়, দুইটায় ও সাড়ে তিনটায় তিনটি ট্রেন নগরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। শিক্ষার্থীরা ক্লাস–পরীক্ষা শেষে শহরের উদ্দেশে আসার জন্য ক্যাম্পাস স্টেশনে আসেন। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও ক্যাম্পাস স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। এদিকে নগর থেকে বেলা আড়াইটায় ও সাড়ে তিনটায় দুটি ট্রেন ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় আপাতত ট্রেন চলাচল করছে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র ন ল ইনচ য ত নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়