টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তিতে বিসিবির নানা আয়োজন
Published: 19th, June 2025 GMT
বড় এক কাকতালই বটে—টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন তাঁর সামনেই দেশের টেস্ট ক্রিকেটের বড় এক উপলক্ষ হাজির—বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির রজতজয়ন্তী। ২০০০ সালের ২৬ জুন দশম দল হিসেবে আইসিসি থেকে টেস্ট খেলার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।
গত মাসে বিসিবিপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়া আমিনুল বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তির উপলক্ষকে স্মরণ করতে কয়েকটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। ‘তৃণমূলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যও এই রজতজয়ন্তী উদ্যাপনকে কাজে লাগাতে চাইছেন আমিনুল।
টেস্টে মর্যাদার ২৫ বছর উপলক্ষে ২১ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ৭ বিভাগীয় শহরে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে আছে অনূর্ধ্ব–১২ পর্যায়ের সিক্স এ সাইড প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরে একজন কোচও থাকবেন। ‘প্যারেন্টাল/ফ্রি ফর অল কোচিং সেন্টার’ নামের আয়োজনের মাধ্যমে আগ্রহী অভিভাবকদের ক্রিকেট কৌশল ও খেলার মূল ধারণা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।
একই সময়ে স্কুল–কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য পেসার ও স্পিনার হান্টের আয়োজনও করা হবে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এতে অংশ নেওয়া যাবে। প্রতিটি ভেন্যুতে একটি করে কমেন্ট্রি বুথও থাকবে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুহূর্তের ভিডিওগুলো সেখানে উপস্থাপন করা হবে। আগ্রহী দর্শকরা চাইলে ভিডিওর ওপর ধারাভাষ্য দিতে পারবেন।
টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর ছবি আঁকার জন্য একটি ছবি আঁকা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করছে বিসিবি। দর্শকদের জন্য থাকবে হিট দ্য স্টাম্প চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া দর্শকরা চাইলে ‘গুড লাক উইশ’ বোর্ডে নিজেরা তাঁদের বিশেষ বার্তা ও শুভকামনা জানিয়ে যেতে পারবেন।
রজতজয়ন্তী উদ্যাপনের শুরুটা হবে ২১ জুন খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। এরপর ২২ জুন রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ২৩ জুন সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও ২৪ জুন চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে এই আয়োজন। ২৫ জুন ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেও থাকবে রজতজয়ন্তীর আয়োজন। ২৮ জুন রংপুর ও বরিশালে আয়োজনের ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। ময়মনসিংহে বিভাগে আয়োজন রাখা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।