নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে: আমীর খসরু
Published: 22nd, June 2025 GMT
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এতে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ রোববার চেয়াপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা জানান।
এর আগে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক হয়। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আমীর খসরু ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ব্যাপারে মোটামুটি একটা জায়গায় এসেছি। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে তো একটা স্বস্তির ব্যাপার, সবাই জানে যে- আমরা যেদিকে যাচ্ছি, সেটা মোটামুটি একটা দিনক্ষণে আসা গেছে- ফেব্রুয়ারি। এটা সবার জন্য স্বস্তি। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভেতরে তো না, আমেরিকাসহ বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে- সবার জন্য একটা স্বস্তি। সবার তো এসব ব্যাপারে একটা কর্মপরিকল্পনা থাকে। সুতরাং নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার সবার জন্য ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সহজ হয়ে যাবে৷
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে নির্বাচন, আগামী দিনের নির্বাচন, এ ব্যাপারে বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটা এপ্রোসিয়েট করা হয়েছে যে, লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যে বৈঠকটা হয়েছে- সেই বৈঠকের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছেন এবং সেই মিটিংয়ের ফলে যে দেশে বড় একটা স্বস্তি আসছে ও নির্বাচনমুখী হয়েছে, সেটাও আলোচনার এসেছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, মতপ্রার্থক্য তো থাকতেই হবে৷ এখানে মতপ্রার্থক্য না থাকার কোনো সুযোগ নাই। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেটা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা সমাধান আগামী একমাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কারণ, ঐকমত্য যেসব বিষয়গুলোর হবে, তার বাইরে যাওয়ার তো যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷
তিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার করার প্রসঙ্গে জানতে চাইতে আমীর খসরু বলেন, এত দিন তো মামলার সুযোগ ছিল না। এখন মামলা করবে, এটা তো খুবই স্বাভাবিক। দুই দেশে কিভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়; সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়