কক্সবাজারের উখিয়ায় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ডাকাত সর্দার শাহীনের ‘গানম্যান’ আশিক মিয়াকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) মধ্যরাতে উখিয়ার মধুঘোনা এলাকায় অভিযান চালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আশিক উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মধুঘোনা এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ 

উখিয়া থানার ওসি মো.

আরিফ হোসেন জানান, সোমবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল উখিয়ার মধুঘোনা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। খবর ছিল, সেখানে সশস্ত্র অবস্থায় কয়েকজন অপরাধী অবস্থান করছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ৩-৪ জন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে একজনকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে বাড়ি তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল (ম্যাগজিনসহ), একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি, সেনাবাহিনীর একটি হেলমেট, আনসার বাহিনীর একটি হেড প্রিক্যাপ, একটি লোহার শিকল, সেনা প্রশিক্ষণের একটি বই এবং ৭০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার আশিক নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে সক্রিয় ডাকাত সর্দার শাহীনের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি শাহীনের গানম্যান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির কাছে সীমান্ত পেরিয়ে খাদ্য ও রসদ সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে। আশিকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র একট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল-সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসিজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের ঘাসের মধ্যে এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে, কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে জানা যায়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে রাত এগারোটায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

বিস্ফোরণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে জানার চেষ্টা করছি, কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা মনে করছি ক্যাম্পাস নিরাপদ। কিন্তু কেউ যদি ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করার চেষ্টা করে, তাহলে এটা কৃত্রিম। আমরা মনে করি ক্যাম্পাসে ককটেল মেরে ডাকসু বন্ধ করা যাবে না। এটা অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসুর জন্য প্রস্তুত। আর আজই যখন এমন ঘটনা ঘটে, সেটা ডাকসু বন্ধ করার অপতৎপরতারই অংশ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ