বিয়েকে ‘ওল্ড স্কুল’ মনে করেন জয়া আহসান! বিজ্ঞাপন, টিভি নাটক কিংবা সিনেমা সব জায়গায় জয়া আহসানের সমান উপস্থিতি। সৌন্দর্য আর ফিটনেস মেইনটেইন করে চলার কারণেও তিনি থাকেন নেটিজেনদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
গত কোরবানি ঈদে জয়া আহসান অভিনীত দুই সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দুইটি সিনেমাতেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেছেন। কখনও ঢালিউড, কখনও টলিউডের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এই নায়িকা। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল। তাই নেটিজেনদের প্রশ্ন, কবে বিয়ে করবেন জয়া আহসান?
জয়া আহসান এই প্রশ্নের উত্তরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়। আর যাওয়ার ইচ্ছা নাই। আপনারা যারা যেতে চান, তারা যেতে পারেন নিজ দায়িত্বে। আমার এতো আগ্রহ নাই।’’
আরো পড়ুন:
বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন
শাবনূরের সঙ্গে কোন নায়ককে বেশি মানায়? জানালেন রিয়াজ
এর আগে জয়া আহসান সিচুয়েশনশিপে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন তো কেউ রিলেশনশিপেই যায় না! সিচুয়েশনশিপ.
এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি পরিকল্পনা করে কিছুই করেন না। যদি কখনও মনে করেন যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হবেন, তাহলে হবে। তবে আপাতত তার কোনো পরিকল্পনা নাই। আপাতত তিনি সিঙ্গেল আছেন এবং শান্তিতে আছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশি মডেল ফয়সালের সঙ্গে প্রেম করে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া। ২০১১ সালে ইতি টানেন ১৩ বছরের সেই দাম্পত্য জীবনের। এরপর থেকেই সিঙ্গেল তিনি।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন শনশ প আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয়
ডায়াবেটিসের শুরুতেই রোগের লক্ষণ হিসেবে অনেকের ঝাপসা দৃষ্টি থাকতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সিকিভাগের বেশি রোগীর রোগ নির্ণয়ের সময় জটিলতা থাকে। এসব জটিলতার মধ্যে চোখের জটিলতা তথা রেটিনোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ঝাপসা দৃষ্টি তৈরি হতে পারে।
দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, সোজা রেখা বাঁকা দেখা, দৃষ্টিসীমানার ভেতরে কালো কালো দাগ দেখা, আকস্মিক অন্ধত্ব– এগুলো সব হতে পারে রেটিনার ব্যাধিতে। মাঝেমধ্যে দৃষ্টিশক্তির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে রক্তে গ্লুকোজের তারতম্যের কারণে।
চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্তর হচ্ছে রেটিনা। ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও রেটিনায় ঘটে রক্তক্ষরণ। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেটিনা বিচ্ছিন্ন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রেটিনা ও অক্ষিগোলকের জেলিসদৃশ পদার্থের ভেতর নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হতে থাকে। এসব গজিয়ে ওঠা নবীন রক্তনালি থাকে ভঙ্গুর। এখান থেকে হতে পারে রক্তক্ষরণ। এমনটি ঘটলে দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগীদের অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ ছানি পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্লুকোমা বা চোখের চাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।
ডায়াবেটিসের ধরন, সময়কাল, ব্যক্তির বয়স, গ্লুকোজের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির উপস্থিতি রেটিনার ব্যাধি সৃষ্টির জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
চোখের জটিলতা কমাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরচর্চা, ওষুধ এবং প্রয়োজন বোধে ইনসুলিনের চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কেমন।
প্রতিবছর অন্তত একবার চক্ষু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে চোখের জটিলতা নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নির্ণিত হওয়ার পর প্রতিবছর চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছর পর থেকে প্রতিবছর এমনটি করতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রেটিনার এসব রোগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। কখনও এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে লেজারথেরাপি কিংবা কখনও চোখের ভেতরে ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এসব নির্ভর করে রেটিনার অবস্থার ওপর।
লেখক : মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা