প্রথম প্রান্তিকে ১২৯ কোটি টাকার বিমা দাবি দিয়েছে গার্ডিয়ান লাইফ
Published: 4th, July 2025 GMT
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে গার্ডিয়ান লাইফ ১২৯ কোটি টাকার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে। ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ৩৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে গার্ডিয়ান লাইফ মোট ৪৩৯ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকাসুরেন্সেও ভালো করেছে কোম্পানিটি। খবর বিজ্ঞপ্তি
দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৯৫ শতাংশ দাবি মাত্র তিন কর্মদিবসে নিষ্পত্তি করছে। সময় আরও কমাতে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ গার্ডিয়ান লাইফের বিমা সুরক্ষা উপভোগ করছেন। এর মধ্যে আছে ৫০০-র বেশি দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী বাহিনী। প্রতিষ্ঠানটি খুচরা, মাইক্রো ইনস্যুরেন্স, ডিজিটাল ও গ্রুপ বিমা—এই চার ধরনের বিমা সেবা দিচ্ছে।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর পর এ খাতেও দ্রুত এগিয়ে আসে গার্ডিয়ান। বাজার গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকাস্যুরেন্স খাতে মোট বিক্রয়ের ৭৯ শতাংশ করেছে গার্ডিয়ান লাইফ।
ব্যাংকাস্যুরেন্স প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও ঝামেলাবিহীন করতে গার্ডিয়ান এসটিপি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও কাগজবিহীন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিমা সেবা নিতে পারছেন, বাড়তি দাপ্তরিক জটিলতা ছাড়াই।
গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ইনস্যুরটেক, মাইক্রোইনস্যুরেন্স ও ব্যাংকাস্যুরেন্সের মতো খাতগুলোতে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের বিমা খাতকে আরও গতিশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলছে। কোটি মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহজপ্রাপ্য ও আধুনিক বিমা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গীকারবদ্ধ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ