কক্সবাজারে পাহাড় ধসে বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত
Published: 5th, July 2025 GMT
কক্সবাজার শহরের আশুরঘোনায় পাহাড় ধসে দুটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার পর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরটি মোহাম্মদ আজিম উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির। পাহাড়ধসে বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায় এবং আসবাবপত্র মাটির নিচে চাপা পড়ে।
ভুক্তভোগী আজিম উল্লাহ বলেন, “রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝুম বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ একটি পাথর ঘরের চালের ওপর পড়ে। তখনই আমরা আশঙ্কা করি, পাহাড় ধস আসতে পারে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে বের হয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড় ধসে পুরো ঘরের ওপর পড়ে। প্রাণে বেঁচে গেলেও ঘরের আসবাব ও মূল্যবান জিনিসপত্র মাটির নিচে চাপা পড়েছে।”
এ এলাকার আরেক বাসিন্দা মো.
৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, “প্রতি বছর বর্ষা এলেই কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগাম সতর্কতা জারি করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে প্রশাসন সচেতন রয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাশুরকে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহিদা আক্তারের নামে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের বসতঘরে মাটির নিচ থেকে নিহত মনিরের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনির মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার (২২), তার প্রেমিক ইব্রাহিম (২০) ও তার মা আমেনাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মনিরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান ইব্রাহিম। বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ দিন আগে শাহিদাকে শাসন করেন ভাশুর মনির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহিদা ও ইব্রাহিম। গত ১ জুলাই রাতে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইব্রাহিম। পরে লাশ নিজের বসতঘরে নিয়ে মাটিচাপা দেন। এ ঘটনা দেখে ফেলেন ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। এসময় মুখ বন্ধ রাখতে মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের চাপে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন আমেনা। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা মনিরের লাশ শনাক্ত করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মনিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিদা, ইব্রাহিম ও তার মা আমেনাকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শাহিদা ও ইব্রাহিমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম, তার প্রেমিক ইব্রাহিম ও ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।