ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে আজ সোমবার সকালে যাত্রীবোঝাই একটি মিনিবাস উল্টে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কমপক্ষে ২৪ জন। ঘটনা পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের।
পুলিশ জানিয়েছে, মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। হাজিপুর থেকে দাসুয়া যাচ্ছিল মিনিবাসটি। ভোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৮ জন। বাকি ৩২ জন যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দাসুয়া সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান আরো দুজন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে আসা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপরেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পুলিশে খবর দেওয়ার পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ: নাহিদ
বৃষ্টি ভাঙবে নাকি ভারতের জয়ের স্বপ্ন?
এদিকে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাসটিতে যান্ত্রিক সমস্যা ছিল, নাকি চালকের ভুলের জন্য এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিপটন ট্রিপল হত্যায় গ্রেপ্তার
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজের অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটন ও তার সহযোগী রাজুকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন ঝিনাইদহের একটি আদালত। ঝিনাইদহের শৈলকূপায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালতের বিচারক মোখলেসুর রহমান তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। আদালত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।
গত ৬ জুন কুষ্টিয়ার দূর্বাচারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিন সহযোগীসহ জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। লিপটনের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুন:
১০০ খুন করতে চাওয়া যুবক অধরা, ভুক্তভোগী পরিবার আতঙ্কে
তিন আগ্নেয়াস্ত্রসহ আ.লীগ-বিএনপির ২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পূর্ববাংলার সামরিক কমান্ডার হানেফ আলী, লিটন ও রাইসুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত চরমপন্থি নেতা হানেফের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম ইশা বাদী হয়ে শৈলকূপা থানায় মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডে কুষ্টিয়ার চরমপন্থি নেতা লিপটন ও রাজু জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
দীর্ঘদিন আড়ালে থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রকাশ্যে আসেন চরমপন্থি নেতা লিপটন। বড় জনসভা করে হানিফকে দেন সংবর্ধনা। এরপর ঢাকায় হানিফের অফিসে বেশিরভাগ সময় কাটাতেন লিপটন। হানিফের চাচাত ভাই আতাউর রহমান আতার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন লিপটন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকূপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাকিল আহম্মেদ জানান, চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় প্রথমে লিপটন ও রাজুকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের একটি আদালতে তোলা হলে দু’জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ হত্যা মামলায় এখনো পর্যন্ত নয় জন গ্রেপ্তার হলেও কেউ আদালতে জবানবন্দি দেননি। মঙ্গলবার (৮ জুন) আদালতে লিপটন ও রাজুর রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল