বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারী বেদিকা প্রকাশ শেঠিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। আলিয়া ভাটের সই নকল করে তার অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

গ্রেপ্তার বেদিকা প্রকাশ শেঠি শুধু আলিয়ার অ্যাকাউন্টই নয়, ভাটের প্রযোজনা সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকেও দফায় দফায় টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, মোট ৭৬.

৯ লাখ রুপির প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আলিয়ার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীর মা সোনি রাজদানের অভিযোগের ভিত্তিতে বেদিকাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বইয়ের জুহু থানার পুলিশ।
 
একটা সময় আলিয়ার যাবতীয় কাজকর্ম সামলাতেন বেদিকা। তবে সবার অজান্তে আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা, ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৯২ রুপি আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আলিয়ার মা এবং প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সোনি রাজদান বছরের শুরুতে জুহু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তখনই প্রকাশ্যে আসে বেদিকার কুকীর্তি।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট- দুই বছর ধরে বেদিকা জালিয়াতি করে।

পাঁচ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বইয়ে আনা হয়েছে বেদিকাকে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়।

ইতিমধ্যেই বেদিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ (ফৌজদারি বিশ্বাস লঙ্ঘন) এবং ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, বেদিকা শেঠি জাল বিল তৈরি করে আলিয়াকে দিয়ে সই করিয়ে টাকা তুলেছিলেন।

অভিনেত্রীকে তিনি ওই বিলগুলো তার ভ্রমণ সংক্রান্ত খরচ ও অন্যান্য খরচ বলে ভুল বুঝিয়ে সই করানো হয় বলে অভিযোগ।

তদন্তে জানা গেছে, বেদিকা শেঠি এই জাল বিলগুণো থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে বেশ কিছু পেশাদার সরঞ্জাম কিনেছিলেন। বাকি টাকা বন্ধুর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। যা পরে আবার তার অ্যাকাউন্টেই ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছিল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল য় ভ ট র অ য ক উন ট আল য় র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ