বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত করে শ্রীলঙ্কা সফরের আলোচনা করছে ভারত
Published: 9th, July 2025 GMT
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা আগস্টে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সফরটি এক বছর পিছিয়ে দেয়। তবে আগস্টের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দিলেও একই সময়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ খেলার আলোচনা করছে বিসিসিআই।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম নিউজওয়্যার জানিয়েছে, আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফরে আসতে পারে ভারত। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) ও বিসিসিআই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ সূচি পরিকল্পনা (এফটিপি) অনুসারে আগস্টে ভারতের বাংলাদেশ সফরেও সমানসংখ্যক ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি হওয়ার কথা ছিল।
ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিতের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায় ৫ জুলাই। সেদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুই ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি পর্যালোচনা করে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিজ আয়োজনে সম্মত হয়েছে। তবে কী কারণে পেছানো হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি।
ওই সময় বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশ সফরে যেতে সায় দিচ্ছে না। দিল্লি প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দিল্লি মনে করছে, এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে ধরনের শীতল কূটনৈতিক সম্পর্ক বিরাজ করছে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে যে ধরনের বিরূপ মনোভাব দেখা যাচ্ছে, তাতে সে দেশে ভারতের ক্রিকেট দলের সফর কোনো ইতিবাচক বার্তা দেবে না।’
আরও পড়ুনএ বছর নয়, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসবে ভারত০৫ জুলাই ২০২৫শ্রীলঙ্কার নিউজওয়্যার লিখেছে, বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আগস্টে ভারত ক্রিকেট দলের সূচি ফাঁকা হয়ে গেছে। একই সময়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) হওয়ার কথা থাকলেও কাকতালীয়ভাবে তা স্থগিত হয়ে গেছে। যে কারণে দুই দলের জন্যই আগস্টের মধ্যভাগে ফাঁকা সূচি রয়েছে।
সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, একটি সংক্ষিপ্ত দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে বিসিসিআই ও এসএলসি। শ্রীলঙ্কা দল জিম্বাবুয়ে সফরের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা ২৯ আগস্ট। এর আগেই তিন ওয়ানডে ও তিন টি–টোয়েন্টি আয়োজন নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন‘ক্রিকেটাররা অতিরিক্ত চাপে থাকে, কিসের চাপ, আমি জানি না’৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র ক ট দল র ল দ শ সফর ব স স আই আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।