ভারতীয় তারকা যুগল অভিষেক বসু এবং শার্লি মোদক। এইতো চলতি বছরের এপ্রিলে বিয়ে করেছেন। বিয়ে তিন মাস না পেরোতেই বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই গুঞ্জন উসকে দিয়েছেন অভিনেতা অভিষেক বসু নিজেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একসঙ্গে একটি নাচের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা।নেটিজেনদের অনেকে প্রশংসা করেছেন সেই ভিডিও দেখে।

এর আগে এপ্রিলে খুবই ছিমছাম ভাবে শার্লির সঙ্গে আইনি বিয়ে সারেন অভিষেক। নতুন বিয়ের গন্ধ এখনও যায়নি। এর মধ্যেই নায়ক সাদা কালো একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘কোনও কারণে যদি মন ভাঙে, তা অনেক সময় আপনার চোখ খুলে দেয়।’’

আরো পড়ুন:

যীশু নেই, কেমন আছেন নীলাঞ্জনা?

পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে করে ‘মা’ হতে চান তিশা

এখান থেকেই গুঞ্জন শুরু।  এই লেখা পড়ে নেটিজেনদের মনে অনেকের প্রশ্ন জন্মেছে। কেউ কেউ আবার সম্পর্ক ভাঙার আঁচ করেছেন। ভাবছেন, ‘‘এই বুঝি শার্লির সঙ্গে সংসার ভাঙল।’’

সত্যি কী? তা এখনও খোলসা করেননি নায়ক। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, বাকি অভিনেতাদের মতো তিনিও নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন। বিয়ের পর কি নায়ক উপলব্ধি করলেন শুধু অভিনয় নয় পাশাপাশি অন্য রোজগারের পথ থাকাও জরুরি। তাই কি এই পোস্ট করেছেন? 

যেখানে ক্যাপশনে লেখা, ‘‘বিশেষ কিছু আসতে চলেছে।’’ অর্থাৎ সম্পর্ক ভাঙার সঙ্গে আদপে কোনো সংযোগ নেই তা আন্দাজ করা যায়। এই মুহূর্তে অভিষেককে দর্শক দেখছেন ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকে।

‘তুই আমার হিরো’ ধারাবাহিকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছন শার্লি।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত