রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ছেলেদের আবাসিক হল, শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক হয়ে কয়েকটি সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামি ছাত্রশিবির ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় সংগঠনটির মুখপাত্র নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ‘যুবদলের কর্মীরা এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই৷ নতুন বাংলাদেশে কোনো নৃশংসতা, চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেবো না। পুরাতন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা মেনে নেবো না। আপনারা যদি না শোধরান, তাহলে ক্ষমতায় আসার পর কতদিন টিকে থাকবেন, তা দেশের ছাত্র-জনতা ঠিক করে দেবে।’ 

ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক সাফায়েত মীর বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, টাকা পাচার, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো পুরাতন বন্দোবস্ত চালু করতে চায়, আওয়ামী লীগের মতো যারা আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে তাদেরও একই পরিণতি হবে। আপনাদের এই অন্যায়, খুন, চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেবো না।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ