ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
Published: 12th, July 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলা হয়েছে। এসময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মির্জা ফয়সল আমিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার রাত পৌনে ৯টায় বালিয়াডাঙ্গী সমির উদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা ফয়সল আমিনকে লক্ষ্য করে চেয়ার ও বাঁশ নিক্ষেপ করে এবং তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর পরে গতকাল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। ফলাফল ঘোষণার দাবিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফয়সল আমিনসহ জেলার অন্য নেতাদের দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। ফলাফল ঘোষণা না করা পর্যন্ত কাউকে স্থান ত্যাগ করতে দেবেন না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অবরুদ্ধ থাকার পর রাত পৌনে ৯টার দিকে ফয়সল আমিন ফলাফল ঘোষণা করেন। পরে তিনি গাড়িতে উঠতে গেলে ঘটে বিপত্তি। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাঁকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারা হচ্ছে। তিনি দ্রুত গাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। হামলাকারীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে। সঙ্গে থাকা অন্য নেতাকর্মীরা তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এই হট্টগোলে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
গাড়ির মালিক ও তাঁর সফরসঙ্গী মো.
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. শওকত আলী সরকার বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী সমির উদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর পর শনিবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। ফলাফল ঘোষণার দাবিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ জেলার অন্য নেতাদের দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তারা ফলাফল ঘোষণা না করা পর্যন্ত কাউকে স্থান ত্যাগ করতে দেবেন না বলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ থাকার পর রাত পৌনে ৯টার দিকে মির্জা ফয়সল আমিন কাউন্সিলের ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফল ঘোষণা শেষে তিনি বাড়ি ফেরার জন্য নিজের গাড়িতে উঠতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার ওপর চড়াও হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মির্জা ফয়সল আমিনকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারা হচ্ছে। তিনি দ্রুত গাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার গাড়িতেও হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এ সময় ফয়সল আমিনের ওপর সরাসরি হামলার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে থাকা অন্য নেতাকর্মীরা তাকে রক্ষার চেষ্টা করেন। তখন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
ফয়সল আমিনের গাড়িটির মালিক ও তার সফরসঙ্গী মো. রাশেদ বলেন, ‘এই গাড়িতে ভাইয়া (মির্জা ফয়সল) এবং আমি নিয়মিত চলাচল করি। আজকেও আমরা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে এসেছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবেই সব শেষ হচ্ছিল। কিন্তু ফলাফল ঘোষণা করে ভাইয়া যখন বাড়ি ফেরার জন্য গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। আমার গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. শওকত আলী সরকার বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাড়িতে উঠতে গেলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’