বর্ষায় প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার ৪ উপায়
Published: 13th, July 2025 GMT
এই বর্ষায় ঠোঁট সহজেই আদ্রতা হারাতে পারে। সপ্তাহে একদিন লিপ মাস্ক ব্যবহার করে ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখতে পারেন। আর লিপ মাস্ক হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই ভালো। নিজেই বানিয়ে নিন লিপ মাস্ক।
নারকেল তেল ও মধু
ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখতে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ঠোঁটের ওপর ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠোঁটের আদ্রতা ঠিক থাকবে। শুধু তাই না এই লিপ মাস্ক ঠোঁট ফাটার হাত থেকে বাঁচাবে। ঠোঁটকে কালচে হতে দেবে না।
আরো পড়ুন:
বর্ষায় র্যাশের সমস্যা কমানোর ৫ টি উপায়
ভাইরাস জ্বর হলে কী করবেন, কী করবেন না
অ্যালোভেরা ও চিনি
রূপচর্চায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যালোভেরা। এই প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। ঠোঁটকে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করবে চিনি। আর অ্যালোভেরা ঠোঁটকে হাইড্রেট করবে। এই মাস্ক ঠোঁটে দাগ পড়তে দেবে না। এক চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে আধা চা চামচ চিনি মিশিয়ে মাস্কটি তৈরি করে নিন। এরপর ঠোঁট ৩ মিনিট ধরে স্ক্রাব করুন। শেষে সুতি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে, সেই কাপড় দিয়ে ঠোঁট মুছে নিন। দেখবেন ঠোঁট নরম আর গোলাপি হয়ে উঠবে।
গোলাপের পাপড়ি ও দুধ
যারা ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি এর উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান তারা গোলাপের পাপড়ি ও দুধের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এক মুঠো শুকনো গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ দুধ মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মাস্ক ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপরেই ঠোঁট কোমল হয়ে উঠবে।
কিউই ও টক দই
কিউই ফল ও টক দইয়ের মিশেলে তৈরি করে নিতে পারেন মাস্ক। টক দই ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করবে আর কালচে দাগ পড়তে দেবে না। মাস্ক বানানোর জন্য টক দইয়ের সঙ্গে কিউই ভালোভাবে ম্যাশ করে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি ঠোঁটে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এতেই ঠোঁট উজ্জ্বল ও নরম হয়ে উঠবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গোকর্ণের রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহা থেকে দুই সন্তানসহ এক রুশ নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ‘আত্মিক প্রশান্তি ও ধ্যানের’ জন্য তিনি রাজ্যের উত্তর কান্নাডা জেলায় অবস্থিত ওই গুহায় ছিলেন। আজ শনিবার স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রুশ ওই নারীর নাম নিনা কুতিনা ওরফে মোহি। তাঁর বয়স ৪০ বছর। ব্যবসায়িক ভিসায় তিনি রাশিয়া থেকে ভারতে এসেছিলেন। এরপর গোয়া হয়ে কর্ণাটকের গোকর্ণ শহরে বসবাস শুরু করেন। এ সময় হিন্দু ধর্ম ও ভারতের আধ্যাত্মিক রীতিনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন নিনা।
নিনা কুতিনার দুই সন্তানের নাম প্রেয়া (৬) ও অমা (৪)। পুলিশ জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ ধরে ওই গুহায় ‘পূজা’ ও ধ্যান করে দিন কাটাচ্ছিলেন নিনা। প্রকৃতির মধ্যে আত্মিক শান্তি খুঁজছিলেন তিনি। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার নিয়মিত টহলের সময় ওই গুহার বাইরে পোশাক ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। এরপর সেখানে গিয়ে নিনা ও তাঁর দুই সন্তানের খোঁজ পাওয়া যায়।
উত্তর কান্নাডার পুলিশ সুপার এম নারায়ণ আজ পিটিআইকে বলেন, ‘এই নারী ও তাঁর সন্তানেরা কীভাবে জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন এবং কী খেয়েছিলেন, তা বেশ বিস্ময়কর। সৌভাগ্যক্রমে জঙ্গলে থাকার সময় তাঁর বা শিশুদের কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে রাশিয়ার ওই নারীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি কত দিন ধরে ভারতে আছেন, তা জানা যায়নি। উদ্ধারের পর তাঁকে একটি আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতে রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।