আবারও আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা নাম সাকিব আল হাসান। গ্লোবাল সুপার লিগে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর জাতীয় দলে তার ফেরা নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে।

গত বছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। তবে এরপর ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে টেস্ট সিরিজে খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দেশে ফেরার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে শেষ মুহূর্তে দুবাই থেকে ফিরে যান সাকিব। পাশাপাশি বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। পরে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দিয়ে মাঠে ফেরেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন সাকিব। উদ্বোধনী ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৮ রান ও ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখান ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় দলে ফেরানো উচিত কি না।

শনিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। তার জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা। এখন বিষয়টা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে বিসিবি কীভাবে পরিচালিত হয়েছে আমি জানি না। তবে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পুরো দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনস, নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। তারা বিষয়টি দেখছেন এবং বিবেচনায় রাখবেন।’

তবে জিএসএলের পরের ম্যাচে হোবার্ট হারিকেনসের বিপক্ষে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল ফিকে। ব্যাট হাতে করেন মাত্র ৭ রান, আর বল হাতে উইকেটশূন্য থেকে ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

নামের ভারেই কি নুয়ে পড়ছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ

মোস্তাফিজুর রহমান: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই চমক দেখান জাদুকরী কাটার দিয়ে। এখন তো আইপিএলেও বড় তারকা বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার।

তাসকিন আহমেদ: ৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স অনেক। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে বল হাতেও নিজেকে নির্ভরযোগ্য করে তুলেছেন।

নাহিদ রানা: বল হাতে ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলেছেন। ১৪৫-১৪৬ কিলোমিটার গতি তো নিয়মিতই তোলেন। বাংলাদেশ দলে এমন গতিময় বোলার বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই একটা চমক।

এই তিনজনের বাইরেও বাংলাদেশের পেস–ভান্ডার এখন বেশ সমৃদ্ধ। একটা সিরিজে তিন সংস্করণে ভিন্ন পেসারদের খেলিয়েও দেখা যায় কয়েকজন পেসার সুযোগ পাননি, যাঁরা চাইলে খেলতে পারতেন কোনো না কোনো সংস্করণে। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখবেন, বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ নামে যতটা ভারী, সবার পারফরম্যান্স নামের সঙ্গে সুবিচার করে ততটা নয়।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবার টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ মিলিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের মোট উইকেট ১৭টি। এর মধ্যে তাসকিন আর তানজিমেরই ৬টি করে ১২টি। অন্যদিকে টেস্ট, ওয়ানডেতে ৮টি করে উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার পেসার আসিতা ফার্নান্ডো একাই নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। পুরো সিরিজে আসিতার মতো ধারাবাহিক বাংলাদেশের কোনো পেসারই হতে পারেননি। একটু ব্যতিক্রম বলতে হবে শুধু তানজিমকে।

অবশ্য তানজিম ছাড়া বাকি পেসারদের ম্যাচ খেলানোতেই ধারাবাহিকতা রাখা যাচ্ছে না। কাউকে একের বেশি দুই সংস্করণে খেলাতে গেলেই নানা সমীকরণ মেলাতে হয়। ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’ কথাটা এমনভাবে জেঁকে বসেছে যে দল নির্বাচনী সভায় পেস বোলারদের হিসাব মেলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নির্বাচক কমিটিকে। একাদশের বোলিং কম্বিনেশন ঠিক করতে গিয়ে একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকেও।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ফেরানো হয়েছিল ইবাদত হোসেনকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবের দরজা সবসময় খোলা: বিসিবি পরিচালক 
  • বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি রবিবার
  • পিএসজি এখন বিশ্বসেরা ক্লাব, সেরা চারে নেই বার্সা–রিয়াল
  • মাঠে নেইমারের ছোঁয়া, জয়ে ফিরল সান্তোস
  • সবসময় চেয়েছি নিজের পরিবারকে সময় দিতে, এখন সেটাই করছি: পূর্ণিমা
  • জিএসএলে গায়ানাকে হারাল রংপুর রাইডার্স 
  • নামের ভারেই কি নুয়ে পড়ছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ
  • প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে ব্যাট-বলে উজ্জ্বল সাকিব
  • গ্লোবাল সুপার লিগে সাকিব ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ কবে, কখন