বাজির দর, পণ্ডিতদের বিশ্লেষণ, পারফরম্যান্সের পার্থক্য, খেলোয়াড়দের ছন্দ, সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ধারণা এবং আরও কোনো মানদণ্ড যদি থাকে—সবকিছুতেই আজ চেলসির চেয়ে পিএসজি অনেক অনেক এগিয়ে। বলা হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের কথা। যেখানে পিএসজির সময়ের সেরা ক্লাব হওয়ার পথে বাধা এনজো মারেসকার চেলসি।

মারেসকার চেলসি আসলে বাধার প্রাচীরটা কতটা কঠিন করে তুলতে পারবে পিএসজির সামনে? প্রথমে ফুটবল–পণ্ডিতদের বিশ্লেষণে নজর দেওয়া যেতে পারে। ফরাসি ক্লাবটির স্প্যানিশ কোচ তাঁর দলকে চলতি মৌসুমে খেলাচ্ছেন ৪–৩–৩ ফর্মেশনে। এই ফর্মেশনে পিএসজির খেলাটা মূলত গড়ে ওঠে মাঝমাঠে সময়ের অন্যতম তিন কার্যকর মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস, ভিতিনিয়া ও ফাবিয়ান রুইজের মাধ্যমে। চেলসির ইতালিয়ান কোচ মারেসকার বড় চ্যালেঞ্জ হবে ছন্দময় এই মাঝমাঠ ভাঙা। সে ক্ষেত্রে এত দিন ধরে দলকে খেলিয়ে আসা ৪–২–৩–১ ফর্মেশন থেকে সরে আসতে হতে পারে মারেসকাকে। কারণ, মাঝমাঠে পিএসজি বলের দখল এতটা বেশি রাখে যে চেলসি দুজন মিডফিল্ডার নিয়ে খেললে সেটা বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

উসমান দেম্বেলেসহ পিএসজির খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসজ র

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ