বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করে এখন বৈষম্য সৃষ্টি করছেন আপনারা : টিপু
Published: 23rd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছেলেমেয়েদের শ্রদ্ধা ভালোবাসা রেখে বলতে চাই, আপনারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছেন। আপনারা এখন কেন বৈষম্য সৃষ্টি করছেন। আপনারা কেন রাজনৈতিক দল করেছেন, কেন এনসিপি খুলেছেন।
যাইহোক আপনাদেরকে স্বাগতম জানাই আপনারা রাজনীতি করবেন মাঠে খেলবেন এটাই তো স্বাভাবিক কিন্তু আপনারা কেন পুলিশ বিডিআর সেনাবাহিনী প্রশাসন ব্যবহার করে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করেন মিছিল করেন সমাবেশ করেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। বুধবার ( ২৩ জুলাই ) বিকেল চারটায় কুড়িপাড়া স্কুল হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, কিন্তু ছাত্রদলকে কেন প্রটোকল দেওয়া হয় না। ছাত্র শিবিরকে কেন প্রটোকল দেওয়া হয় না। বিএনপিকে কেন প্রটোকল দেওয়া হয় না। এনসিপি দল খুলেছেন কিন্তু আপনারা যদি বৈষম্য তৈরি করেন এটা তো মেনে নেওয়া যায় না।
আমি এনসিপি দলকে আহ্বান করব এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছিল তাদের রক্তের সাথে আপনারা বেইমানি করবেন না। এই বৈষম্য আন্দোলনকে আপনারা কুক্ষিগত করবেন না। এই বৈষম্য আন্দোলনকে আপনারা পদদলিত করবেন না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যেরকম কুক্ষিগত করে মানুষকে জিম্মি করে তাদের দলকে ডাস্টবিনে ময়লায় নিক্ষিপ্ত করেছে।ঠিক তেমনিভাবে আপনাদেরও পতন হতে সময় লাগবে না। আপনারাও ময়লাই নিক্ষিপ্ত হবেন ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবেন।
তাই আমি বলতে চাই আপনারা সাবধান হয়ে যান বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করবেন না । তারেক রহমানকে নিয়ে সমালোচনা করবেন না। যদি সমালোচনা করেন তাহলে আপনাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে,
তিনি আরও বলেন, বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে না বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে।আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনায়েক তারেক রহমান । তারা গণতন্ত্রকে অনেক শ্রদ্ধা করে দেশের জনগণকে ৩১ দফার মাধ্যমে দেশকে সুন্দর ও শৃংখল ও এদেশের মানুষকে হাসি মুখ ফোটাতে চায়।
মহানগর ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সভাপতি মঞ্জুর আলম, সহ- সভাপতি মো. রিগ্যান, মো. আমানত, মো. আমির, সহ- সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুব, ২৭নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা ইমাম হাসান বিপ্লব, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম, জাহিদুজ্জামান শাহাজাদাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স করব ন ন র জন ত আপন র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
যাদের টাকা নিয়েছেন, তাদের ফেরত দেন : মাকসুদ চেয়ারম্যানকে সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫টি বছর বন্দরের মানুষ ভালো ছিল না কারণ এখানে অপশাসন চলেছিল।
এই বন্দরে চলত ওই সেলিম ওসমানের শাসন তিনি এই বন্দরকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিলেন। আর তার কিছু সর্দার মানে লাঠিয়াল ছিল তাদেরকে ব্যবহার করে তিনি জনগণের সম্পদ লুট করেছিলেন।
আর বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মুসাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন কিন্তু সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ছিলেন। মুসাপুরে এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই।
জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন যারা করেছে তারা কিন্তু কোন কিছুই করে নাই। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ৫ই আগস্টের পরই ওই স্বৈরাচারের দোসর মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলের নেতৃত্বে জনগণের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আর যাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল চারটায় মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবাড়ি এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, মাকসুদ চেয়ারম্যান এখন আবার নির্বাচন করতে চায় এমপি হওয়ার সাধ জাগছে। শেখ হাসিনা ও সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর তাকে বাংলার মাটি তথা বন্দরের মাটিতে কোন স্থান নাই। তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়।
স্বৈরাচারের দোসরা যারা চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে তাদেরকে আর ছাড় নাই তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়। মাকসুদের বিরুদ্ধে কিন্তু অনেক বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম শান্ত থাকেন।
আপনার যে সাধ জেগেছে সেটা এই বন্দরের মানুষ আপনাকে করতে দিবে না। শুধু তাই না আমরা জানতে পেরেছি এই মাকসুদ এই বন্দর মানুষকে গ্যাসের কথা বলে বেড়িয়েছে এবং অনেক কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন।
অনেকেই আমাদের কাছে এই বিষয়ে বলেছে আমরা বলতে চাই যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেন। অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব।
ইনশাল্লাহ আমাদের সরকার বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা এই বন্দরের বঞ্চিত জনগণকে গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিবো। আর এই গ্যাসের জন্য কোন জনপ্রতিনিধিকে আপনারা কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার সভাপতিত্বে এবংনারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, সদস্য হুমায়ূন কবির।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রহিম, বিএনপি নেতা অনিক আহম্মেদ, মোশারফ হোসেন, খোরশেদ আলম, মাকসুদ হোসেন, নুর আলম, বিল্লাল হোসেন, পানা উল্লাহ, নিজাম হোসেন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবন্দ।