নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ঠেঙ্গারচরের কাছে মেঘনা নদীতে একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১১ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রলার মালিকের ছোট ভাই।

গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মালিক ও জেলেসহ ওই ট্রলারটি দখলে নেয় ডাকাতরা৷ তবে, ট্রলার মালিকের স্বজনদের কাছে সংবাদ পৌঁছায় গতকাল বুধবার রাতে। পরে মৎস্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নৌ পুলিশকে জানানো হয়। নৌ পুলিশ বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েও অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করতে পারেনি।

অপহরণের শিকার ট্রলারের মালিক নূর সোলেমানের ছোট ভাই মো.

হানিফ মাঝি বলেছেন, গত মঙ্গলবার সকালে তার ভাই নূর সোলেমান ও মাঝি মো. মুজিবসহ ১১ জন একটি ট্রলার নিয়ে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে হাতিয়ার টাংকিরঘাট থেকে মেঘনা নদীর মোহনায় ঠেঙ্গারচর এলাকায় যান। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ঠেঙ্গারচর এলাকায় মাছ ধরার সময় তাদের ট্রলারটি ডাকাতদের কবলে পড়ে।

মো. হানিফ মাঝি অভিযোগ করেন, ডাকাতরা তার ভাইসহ ১১ জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ট্রলার ও জালসহ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে বুধবার হাতিয়ার টাংকির ঘাটের একজন আড়ৎদারকে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এর পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার সারা দিন অপেক্ষা করেও তার ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপহৃতরা কোথায় আছেন, তা এখনো জানা যায়নি। 

হাতিয়ার নলচিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক আশীষ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, এক মৎস্য ব্যবসায়ীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার থেকে নৌ পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। জেলেদের উদ্ধারে সাগরে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।  

ঢাকা/সুজন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার