আহান-অনীতের প্রেমে মাত, ছয় দিনে ২০০ কোটির বেশি আয়
Published: 25th, July 2025 GMT
দীর্ঘদিন পর রোমান্টিক ঘরানার ছবি নিয়ে আবারও তোলপাড় বলিউড। বিশেষ করে জেন-জি প্রজন্মের মনে ঝড় তুলেছে মোহিত সুরি পরিচালিত ‘সাইয়ারা’। শুধু হৃদয়ে নয়, ছবিটি ঝড় তুলেছে বক্স অফিসেও। মুক্তির মাত্র ছয় দিনের মাথায় ছবিটির আয় ছাড়িয়ে গেছে ২০০ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। বাজেটের তিন গুণের বেশি এই আয় চমকে দিয়েছে বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষকদের।
নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডা অভিনীত এই প্রেমের ছবিটি প্রযোজনা করেছে যশ রাজ ফিল্মস। ১৮ জুলাই মুক্তির পর থেকেই ছবিটি সাড়া ফেলেছে প্রেক্ষাগৃহে। ‘সাইয়ারা’র নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৫৭ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। সেই ছবিই এখন আয় করে ফেলেছে ২০০ কোটির বেশি, যা প্রযোজকদের প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেছে।
ছবিটির প্রথম দিনের আয় ছিল ২১ দশমিক ৫০ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৭ দশমিক ৫ কোটি। সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলোতেও ছবিটির বাণিজ্যিক গতি কমেনি।
বরং সোম, মঙ্গল ও বুধবার—এই তিন দিনেও প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দ্বিতীয় দিন আয় করে ৩০ দশমিক ৯ কোটি টাকা, তৃতীয় দিনে ৩২ কোটি টাকা এবং ষষ্ঠ দিনে ২৬ দশমিক ৮ কোটি টাকা। ছয় দিনের শেষে ভারতের অভ্যন্তরে আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। আর বিশ্বজুড়ে মোট আয় ছুঁয়েছে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৭৮ কোটি।
‘সাইয়ারা’ সিনেমার দৃশ্যে আহান পান্ডে এবং অনীত পড্ডা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।