হুন সেনের রহস্যময় চাল: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়ার এ সংঘাত কেন
Published: 25th, July 2025 GMT
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত বরাবর সংঘাতের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দীর্ঘ বনভূমিবেষ্টিত এই সীমান্তের কিছু অংশ নিয়ে উভয় দেশেরই দাবি রয়েছে। অতীতেও, বিশেষত ২০০৮ ও ২০১১ সালে, গুরুতর গোলাগুলিতে ৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। তবে সেই সংঘাতগুলো তুলনামূলকভাবে দ্রুত শান্ত হয়েছিল। এমনকি চলতি বছরের মে মাসেও, কম্বোডিয়ার এক সৈনিক নিহত হওয়ার পর উভয় পক্ষকে সহিংসতা প্রতিরোধে আগ্রহী দেখা গেছে এবং উত্তেজনা কমাতে উভয় দেশের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সেই শান্ত অবস্থা বিস্ফোরিত হয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবারও লড়াই চলতে থাকায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন ছাড়া সবাই বেসামরিক নাগরিক। কম্বোডিয়ায়ও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচ থাই সেনা আহত হওয়ার পর এবারের উত্তেজনা বড় আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, দুই দেশের মধ্যে এই সীমান্ত সংঘাতের নেপথ্যে আসলে কী?
উত্তেজনা বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে গত মাসে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতিকে। কম্বোডিয়ার জ্যেষ্ঠ নেতা হুন সেন থাই প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে চরমভাবে বিব্রত করেছেন বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে তাদের মধ্যে একটি ফোনালাপ ফাঁস করে। এই ফোনালাপে পেতোংতার্ন হুন সেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন এবং তাঁর নিজের একজন সামরিক কমান্ডারের সমালোচনা করেন, যা থাইল্যান্ডে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি করে। ফলে পেতোংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
কেন হুন সেন এমন একটি স্পর্শকাতর ফোনালাপ ফাঁস করার সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। অথচ দুই পরিবারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তাহলে কেন সেই দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নষ্ট করলেন তিনি?
অনেক বিশ্লেষক পেতোংতার্নকে এই কথোপকথনের জন্য দোষারোপ করছেন। হয়তো তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে, তাঁর বাবা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে হুন সেনের বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তিনি দুই দেশের মতবিরোধগুলো সমাধান করতে পারবেন। উল্লেখ্য, অতীতে থাকসিনের বিরোধীরা এই বন্ধুত্বকে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ার স্বার্থকে থাইল্যান্ডের স্বার্থের উপরে স্থান দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল।
এই মুহুর্তে যা রহস্য রয়ে গেছে তা হলো, কেন হুন সেন এই বন্ধুত্ব নষ্ট করার এবং এই সংঘাতকে উসকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। হয়তো এর পেছনে ছিল এই বছর স্ক্যাম সেন্টারগুলোতে চাপ সৃষ্টির জন্য থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্ত, অথবা জুয়াকে বৈধ করার থাকসিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, যা কম্বোডিয়ার লাভজনক ক্যাসিনো শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। অথবা হয়তো এখানে আরও সরল কোনো ব্যাপার ঘটেছে।এই ফোনালাপ ফাঁস সিনাওয়াত্রা পরিবারকে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে হতবাক করে দিয়েছে। থাকসিন ও পেতোংতার্ন উভয়ের প্রতিক্রিয়া থেকে মনে হচ্ছে তারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান তিক্ত বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এটি কেবল কথার চেয়েও বেশি কিছু। থাই পুলিশ থাইল্যান্ডে প্রভাবশালী কম্বোডিয়ান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, যাদের বিরুদ্ধে জুয়া ও প্রতারণার সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে।
পিছু হটার পরিবর্তে, কম্বোডিয়ার হুন সেন থাইল্যান্ড এবং বিশেষ করে সিনাওয়াত্রা পরিবারের বিরুদ্ধে বাগাড়ম্বর বাড়ানোর সুযোগটি লুফে নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন যে তার কাছে গোপন নথি রয়েছে, যা প্রকাশ পেলে থাকসিন ফেঁসে যেতে পারেন এবং প্রমাণ হতে পারে যে তিনি রাজতন্ত্রের অপমান করেছেন। থাইল্যান্ডে এটি একটি বড় অপরাধ, যার জন্য কারাদণ্ডও হতে পারে। এর প্রতিক্রিয়ায় থাই সরকার বুধবার কম্বোডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে এবং নিজেদের দূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, যা সর্বশেষ সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
বর্তমানে কোনো পক্ষই পিছু হটতে রাজি বলে মনে হচ্ছে না। উভয় দেশের নেতৃত্বেই আপস করার মতো প্রয়োজনীয় শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যাচ্ছে।
কম্বোডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এসেছেন সাবেক শক্তিশালী নেতা হুন সেনের অনভিজ্ঞ পুত্র হুন মানেট, যার মধ্যে পিতার মতো কর্তৃত্ব দেখানোর শক্তি নেই। ফলে মনে হচ্ছে হুন সেনই এই সংঘাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডে থাকসিনের দলকে কেন্দ্র করে গঠিত দুর্বল জোট সরকার স্থবির অর্থনীতি এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির কারণে বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় তারা কম্বোডিয়ার মোকাবিলায় কোনো দুর্বলতা দেখাতে পারছে না।
কম্বোডিয়ার অর্থনীতিও বর্তমানে খারাপ সময় পার করছে। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা তারা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অপহরণ ও প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় চীনা পর্যটকদের অনুপস্থিতির কারণে কম্বোডিয়ার অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপরন্তু, থাইল্যান্ডের মতো কম্বোডিয়ার অর্থনীতিও এখন সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে।
তবে উভয় দেশেই হুন সেন এবং থাকসিনের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা যখন প্রস্তুত থাকবেন, তখন এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার একটি উপায় খুঁজে বের করতে পারবেন। একই সাথে, আসিয়ানের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে উভয় দেশকে উত্তেজনা কমাতে রাজি করাতে চেষ্টা করে কিনা, তাও দেখার বিষয়। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত এড়ানোই আসিয়ান গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল। ফলে এ মুহূর্তে আসিয়ানের কিছু দেশের জন্য এই দুটি দেশকে সংঘাত নিরসনে সহায়তা করা একটি অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
তবে এই মুহুর্তে যা রহস্য রয়ে গেছে তা হলো, কেন হুন সেন এই বন্ধুত্ব নষ্ট করার এবং এই সংঘাতকে উসকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। হয়তো এর পেছনে ছিল এই বছর স্ক্যাম সেন্টারগুলোতে চাপ সৃষ্টির জন্য থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্ত, অথবা জুয়াকে বৈধ করার থাকসিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, যা কম্বোডিয়ার লাভজনক ক্যাসিনো শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছিল।
অথবা হয়তো এখানে আরও সরল কোনো ব্যাপার ঘটেছে: এশিয়ার সবচেয়ে ধূর্ত রাজনৈতিক জীবিতদের একজন (হুন সেন) একটি ম্যাকিয়াভেলিয়ান পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি থাইল্যান্ডে নিজের বেশিরভাগ প্রভাব হারানো এক মিত্রকে (থাকসিন) ত্যাগ করেছেন, একই সাথে নিজের জনগণের চোখে নিজের জাতীয়তাবাদী পরিচয়কে উজ্জ্বল করেছেন।
জোনাথন হেড বিবিসি নিউজের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংবাদদাতা
বিবিসি নিউজ থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কম ব ড য এই স ঘ ত বন ধ ত ব কর ছ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০
বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী
প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”
শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।
লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।
স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?”
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
ঢাকা/মাসুদ