গোপালগঞ্জে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ
Published: 26th, July 2025 GMT
দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম ভূঁইয়া (১৫)। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে নিজ বাড়িতে দুধ ঢেলে গোসল করে ফাহিম। এরপর সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়।
ফাহিম ভূঁইয়া চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নয়ন ভূঁইয়ার ছেলে। সে এ বছর চন্দ্রদিঘলিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে।
এ বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা নয়ন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। এরপর ইউনিয়নের এক ছাত্রলীগ নেতা আমাকে জানান, ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটিতে আমার ছেলের নাম আছে। তখনই বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।’
নয়ন ভূঁইয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ওই কমিটি সর্বশেষ ২০২১ সালে গঠিত হয়। তখন আমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার বয়স ছিল ১১ বছর ৮ মাস। সে কীভাবে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হতে পারে? কে বা কারা তার নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে, তা আমরা জানি না। দুই দিন আগে জানতে পেরে দুধ দিয়ে গোসল করে আমার ছেলে ওই পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। আজ থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার ছেলের কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে দুধ দিয়ে গোসল করাকে কৌতুকের বিষয় হিসেবে দেখছেন। অনেকে বলছেন, ছেলের নাম ছাত্রলীগে থাকলে চার বছর ধরে তা নজরে আসেনি কেন?
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’