গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা এই প্রশ্নে ইউরোপীয় দেশগুলো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে। শনিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের বৈঠকে প্রায় ২২১ জন সংসদ সদস্য ব্রিটিশ সরকারকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এরপরেও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার অবিলম্বে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র দেখতে চাওয়ার বিষয়ে ‘দ্ব্যর্থহীন’ হলেও, তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটি একটি ‘বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হওয়া উচিত যা শেষ পর্যন্ত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এবং ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জন্য স্থায়ী নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করবে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শনিবার জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে এটিকে স্বীকৃতি দেওয়া বিপরীতমুখী হতে পারে। 
তিনি বলেছেন, “আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে, কিন্তু প্রতিষ্ঠার আগে এটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে নই। যদি এমন কিছু যা বিদ্যমান নেই তা কাগজে স্বীকৃত হয়, তবে সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে যখন এটি বিদ্যমান নেই।”

জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, বার্লিন স্বল্পমেয়াদে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না এবং এখন তাদের অগ্রাধিকার হলো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে ‘দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত অগ্রগতি’ অর্জন করা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে পাঠানো একটি চিঠি এক্স-এ প্রকাশ করেছেন যেখানে ফ্রান্সের ফিলিস্তিনি স্বীকৃতির সাথে এগিয়ে যাওয়ার এবং অন্যান্য অংশীদারদের তা অনুসরণ করতে রাজি করার জন্য কাজ করার ইচ্ছা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এএফপির একটি ডাটাবেস অনুসারে, ফ্রান্সসহ ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

তিনজন কূটনীতিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে একাই কাজ করতে হবে। কারণ লন্ডন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোষের মুখোমুখি হতে চায় না এবং অটোয়াও একই অবস্থান নিয়েছে।

একজন ফরাসি কূটনীতিক বলেছেন,“এটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে আমরা অংশীদারদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে পারছি না।”

একজন ঊর্ধ্বতন ফরাসি কর্মকর্তা বলেছেন, “ইতিহাসে যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো মুহূর্ত থাকে, এমনকি যদি তা কেবল প্রতীকীও হয়, তাহলে আমি বলব যে সেই মুহূর্তটি সম্ভবত এসে গেছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রক বল ছ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।

নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।

সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন। 

অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।

মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”

মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। 

মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”

নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
  • রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের ৭ উপদেশ
  • চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’
  • বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত
  • ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য বদলালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
  • ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
  • কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস
  • নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো