পর্নো প্রদর্শন করে, যুক্তরাজ্যের এমন প্রায় ছয় হাজার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই শুরু করেছে। ব্যবহারকারীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি কি না, তা গত শুক্রবার থেকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা অফকম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অফকমের একটি কাজ হলো, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেম মেলানি ডয়েস বিবিসিকে বলেন, ‘অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খাত থেকে আমরা শুধু প্রতিশ্রুতিই পাচ্ছি না, পদক্ষেপ নিতেও দেখা যাচ্ছে।’

বিবিসি রেডিও ফোরের ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে মেলোনি ডয়েস আরও বলেন, এর আগে কোনো দেশ বয়স যাচাইয়ের এমন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সফলতা পায়নি। এমনকি ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সসহ এতগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ের ঘটনাও ঘটেনি।

অফকমের প্রধান নির্বাহী সফলতার কথা বললেও বিবিসির পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুক্রবার সকালে যুক্তরাজ্যে অন্তত একটি বড় পর্নো ওয়েবসাইটে বয়স যাচাই ছাড়াই প্রবেশ করা যাচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা এখনো অফকমের বয়স যাচাইপ্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা হলো, ব্যবহারকারীরা বিশেষ করে শিশুরা এই প্রক্রিয়া সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবে।

মেলোনি ডয়েস বলেন, ‘বর্তমানে আমরা জীবনের নানা ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। এ কারণে অনলাইন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বয়স যাচাই আরও যৌক্তিক একটি বিষয়। আমার মনে হয়, লোকজন বেশ অবাক হয় যখন তারা দেখে যে মনস্টারের (এনার্জি ড্রিংক) ক্যান কিনতে গেলে বয়স যাচাই করা হয়, কিন্তু অনলাইনে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস দেখতে গেলে যাচাই হয় না।’

যুক্তরাজ্যে বয়স যাচাইয়ের যে নিয়ম চালু হয়েছে, তাতে পর্নো ওয়েবসাইটগুলো আর কোনোভাবেই শিশুদের সুরক্ষার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারবে না বলে উল্লেখ করেছেন শিশু কল্যাণবিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসির প্রধান নির্বাহী ক্রিস শেরউড। তিনি বলেন, প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসার এবং তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশুদের ক্ষতিকর আধেয়র মুখোমুখি হওয়া ঠেকানোর এখনই সময়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর জ য বয়স য চ ই

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য