‘আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের সূত্র ধরে। সবাই পুরুষ, বেশির ভাগই নেশাগ্রস্ত। আমি ওড়নাটা কোমরে বেঁধে প্রাণভরে নাচলাম। লোকজন তালি দিল, টাকা ছুড়ল। তখনই বুঝে গিয়েছিলেন, তালি মানেই টাকা। অল্প বয়সেই সেই অঙ্ক কষে ফেলেছিলাম।’ শান্তভাবে কথাগুলো বলে এক দম দেন শাগুফতা রফিক। যে জীবন তিনি পেরিয়ে এসেছেন, এখন সেটা তাঁর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকে। চরম দারিদ্র্যের জন্য কী না করেছেন জীবনে। বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছিলেন যৌনকর্মীর পেশা। সেই শাগুফতা এখন হিন্দি সিনেমার ঝলমলে দুনিয়ার বাসিন্দা। একাধিক হিট সিনেমার চিত্রনাট্যকার। তাঁর এ উত্থান নিজের লেখা সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়েও কম নয়।

দুঃস্বপ্নের শৈশব
শাগুফতা রফিকের জন্ম মুম্বাইয়ে। তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী আনোয়ারি বেগম, যিনি ষাটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাঈদা খানের মা। তবে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, অর্থাৎ দত্তক বাবার মৃত্যুর পর শাগুফতার জীবনে নেমে আসে দারিদ্র্যের কঠিন ছায়া।

শাগুফতা রফিক। শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ