চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি হয়। এতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, দুই সহ-উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষাকালীন ছুটি চলছে। তাই ওই ভবনের কার্যক্রম বন্ধ। তবে শিক্ষার্থীরা যখন স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন ওই ভবনের সিনেট কক্ষে শিক্ষকদের নিয়োগের পরীক্ষা চলছিল।

আন্দোলনকারীরা ‘এক দুই তিন চার/চাকসু আমাদের অধিকার/রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’; ‘৩৫ বছরের বঞ্চনা/ মানি না, মানব না’;  ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো/চাকসু কেন থেমে গেল’— ইত্যাদি স্লোগান দেন। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে চাকসু শুধু ভাতের হোটেল হিসেবে রয়েছে। আমরা চাই চাকসু শুধু খাবারের স্থান না হয়ে অধিকার আদায়ের কেন্দ্র হবে।’

কর্মসূচিতে খান তালাত মাহমুদ বলেন, ডাকসু, জাকসু, রাকসুর তফসিল হয়েছে, কিন্তু ৩৫ বছরেও চাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়নি। চাকসু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তফসিল দিতে হবে, না হলে ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষার্থীরা বড় আন্দোলনে নামবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসাইন বলেন, ১ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করতে হবে, শুধু রোডম্যাপ দিয়ে চলবে না। ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা চাইলে চাকসুর বিকল্প নেই। প্রশাসন এই ব্যাপারটি এড়িয়ে চলছে।

চাকসু নির্বচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো.

কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে চাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করব। প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। কোনো রাজনৈতিক দলের প্যানেলকে আমরা অনুমোদন দেব না। যে প্রার্থী নির্বাচন করবেন, তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবেই করতে হবে, দলীয় পরিচয় নয়।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তফস ল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ