আইপিএলের ২৬১টি জার্সি চুরি, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লেন চোর
Published: 30th, July 2025 GMT
একটা আইপিএল জার্সি নিজের কাছে রাখার শখ কারও থাকতেই পারে। কিন্তু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের এক নিরাপত্তারক্ষী যেটা করেছেন, সেটাকে স্রেফ শখপূরণ বলা যাবে না। পুরো একটা কার্টন ভর্তি করে আইপিএল ২০২৫-এর জার্সি নিয়ে চম্পট! ৪০ বছর বয়সী ওই নিরাপত্তারক্ষীর নাম ফারুক আসলাম খান। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের চার্চগেটে বিসিসিআই অফিসের স্টোররুম থেকে মোট ২৬১টি জার্সি চুরি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জার্সিগুলোর মোট আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৫২ হাজার রুপি।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ফারুক অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। সেই আসক্তির খরচ মেটাতেই জার্সিগুলো বিক্রি করে দেন তিনি। চুরি হওয়া জার্সিগুলো বিভিন্ন আইপিএল দলের হলেও এগুলো খেলোয়াড়দের জন্য ছিল, নাকি সাধারণ বিক্রির উদ্দেশ্যে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুনধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা২৯ জুলাই ২০২৫মিরা রোড এলাকার বাসিন্দা ফারুক এই জার্সিগুলো বিক্রি করেছিলেন হরিয়ানার এক অনলাইন জার্সি বিক্রেতার কাছে, যাঁর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চুরির ঘটনাটি ঘটে ১৩ জুন। কিন্তু ব্যাপারটা ধরা পড়ে কিছুদিন আগে, স্টক অডিটের সময়। তখন দেখা যায়, গুদামের হিসাব মিলছে না। বিসিসিআই কর্মকর্তারা তখন সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে পান, ফারুক একটি বড় কার্টন হাতে অফিস থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশের কাছে ওই নিরাপত্তাকর্মী দাবি করেছেন, তিনি অনলাইন বিক্রেতার সঙ্গে দর-কষাকষি করেছিলেন, তবে তিনি কত টাকায় এটি বিক্রি করেছেন, তা স্পষ্ট করে জানাননি। জার্সিগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।
পুলিশ হরিয়ানার সেই অনলাইন বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ‘বিক্রেতার দাবি, সে জানতই না যে জার্সিগুলো চুরি করা। ফারুক তাকে বলেছিল, অফিসে সংস্কারকাজ চলছে, তাই স্টক ক্লিয়ারেন্স সেলের অংশ হিসেবে জার্সিগুলো বিক্রি হচ্ছে।’
চুরি হওয়া ২৬১টি জার্সির মধ্যে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা গেছে মাত্র ৫০টি।
হরিয়ানার বিক্রেতা ফারুকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিলেন। ফারুক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সেই টাকার সবটুকু তিনি হারিয়ে ফেলেছেন অনলাইন জুয়ায়। পুলিশ এখন তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে, তিনি যা বলছেন, তা ঠিক কি না।
এ ঘটনায় ১৭ জুলাই মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট ম্যানুয়ালি গণনার আবেদন করলেন উমামা ফাতেমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট ম্যানুয়ালি (হাতে) গণনা করার আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা। সোমবার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে উমামা ফাতেমা লিখেছেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচনকেন্দ্রিক স্বচ্ছতা যাচাইকরণের উদ্দেশ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের তালিকার কপি, ওএমআর মেশিনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি পুনরায় ভোট গণনা এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার অনুরোধ করছি।’
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ওই দিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলার মধ্যে রাত সোয়া তিনটার পর ফেসবুকে এক পোস্টে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন উমামা ফাতেমা।
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাদিক কায়েম। তিনি পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। অন্যদিকে ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা।
আরও পড়ুনডাকসুর ২৮ পদে কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো, জয়ের ব্যবধান কত১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫