ভারতীয় চলচ্চিত্রাকাশে এখনো উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করছেন অভিনেত্রী মীনা কুমারী। বেঁচে থাকলে আজ ৯২ বছর পূর্ণ করতেন এই বরেণ্য অভিনেত্রী। অভিনয়ের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত খ্যাতি-জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন। কিন্তু সবকিছুর আড়ালে লুকিয়ে ছিল দুঃখে ভরা একটি জীবন। তাকে বলিউডের ‘ট্র্যাজিডি কুইন’ বলা হয়। 

১৯৩৩ সালের ১ আগস্ট মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন মীনা কুমারি। অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় মীনাকে ফিল্মে কাজ করতে বাধ্য করেন তার বাবা। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নায়িকা খ্যাতি লাভ করেন মীনা। যখন আর্থিক সচ্ছলতা আসতে শুরু করে; তখন ফুসফুস ক্যানসারে তার মায়ের মৃত্যু হয়। 

মায়ের মৃত্যুর পর পরিচালক কামাল আমরোহির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মীনা। ১৯৫২ সালে অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সে গোপনে কামাল আমরোহিকে বিয়ে করেন মীনা। অথচ ৩৪ বছর আগেই কামাল বিবাহিত। মীনার চিন্তা ছিল লাখ দুয়েক টাকা জমলে সেই টাকা বাবার হাতে দিয়ে বিয়ের কথা বলবেন, যাতে সংসার চালাতে কষ্ট না হয়। কিন্তু মীনার বাবা বিয়ের কথা জানার পর কামালকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। 

আরো পড়ুন:

আহান পান্ডে ঝড়: ১৪ দিনে আয় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা

৯৭ লাখ টাকার গহনা খোয়ালেন উর্বশী

মীনা চলে যান স্বামী কামালের বাড়িতে। কিন্তু কামাল আমরোহি মীনার জীবনের সুখ হতে পারেননি। পরিচালক স্বামী তাকে সিনেমায় কাজ করতে দেন তিনটি শর্তে। শুটিং থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসতে হবে, যাতায়াত নিজেদের গাড়িতে আর মেকআপ রুমে মেকাপম্যান ছাড়া আর কাউকে আসতে দেওয়া যাবে না। সময়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্রমে তিক্ত হতে থাকে।  

কামাল আমরোহি রীতিমতো গোয়েন্দা লাগিয়ে রেখেছিলেন মীনার পেছনে। ১৯৬৩ সালে সাহেব বিবি অর গুলাম মনোনীত হয় বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য। কামাল আমরোহির আপত্তির কারণে বার্লিনে যাওয়া হয়নি মীনার। আর নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন তো চলতই। পিতাকে ছেড়ে যে বাড়িতে গিয়েছিলেন, সে বাড়িও ছাড়েন মীনা। তার শেষ আশ্রয় হয় অ্যালকোহল আর কবিতা। ১৯৬৮ সালে শনাক্ত হয়, মীনা লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছেন। ১৯৭২ সালে ৩৯ বছর বয়সে মারা যান এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক ম ল আমর হ

এছাড়াও পড়ুন:

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ (প্রতিনিধি পরিষদ) থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যান্সি পেলোসিকে ‘একজন শয়তান মহিলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় অবসরের ঘোষণা দেন সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এ সময় পেলোসি বলেন, ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কংগ্রেসে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি ছিলেন একজন শয়তান মহিলা। তাঁর খারাপ কাজের কারণে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি মনে করি, তিনি ছিলেন অত্যন্ত খারাপ।’

ন্যান্সি পেলোসির বিষয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেশের উপকার করেছেন। তিনি দেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা ছিলেন।’

আরও পড়ুনঅবসরের ঘোষণা সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির৪ ঘণ্টা আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ন্যান্সি পেলোসির সম্পর্কের তিক্ততা দীর্ঘদিনের, অনেকবার নানাভাবেই প্রকাশ পেয়েছে।

ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাঁর বহুমাত্রিক রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। বর্তমানে পেলোসির বয়স ৮৫ বছর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আরও পড়ুন‘ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা’ সেই ন্যান্সি পেলোসির আলোচিত কিছু ঘটনা২৫ নভেম্বর ২০২২

সম্পর্কিত নিবন্ধ