সিনেমার গল্পকেও হার মানায় মীনা কুমারীর জীবন
Published: 1st, August 2025 GMT
ভারতীয় চলচ্চিত্রাকাশে এখনো উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করছেন অভিনেত্রী মীনা কুমারী। বেঁচে থাকলে আজ ৯২ বছর পূর্ণ করতেন এই বরেণ্য অভিনেত্রী। অভিনয়ের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত খ্যাতি-জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন। কিন্তু সবকিছুর আড়ালে লুকিয়ে ছিল দুঃখে ভরা একটি জীবন। তাকে বলিউডের ‘ট্র্যাজিডি কুইন’ বলা হয়।
১৯৩৩ সালের ১ আগস্ট মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন মীনা কুমারি। অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় মীনাকে ফিল্মে কাজ করতে বাধ্য করেন তার বাবা। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নায়িকা খ্যাতি লাভ করেন মীনা। যখন আর্থিক সচ্ছলতা আসতে শুরু করে; তখন ফুসফুস ক্যানসারে তার মায়ের মৃত্যু হয়।
মায়ের মৃত্যুর পর পরিচালক কামাল আমরোহির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মীনা। ১৯৫২ সালে অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সে গোপনে কামাল আমরোহিকে বিয়ে করেন মীনা। অথচ ৩৪ বছর আগেই কামাল বিবাহিত। মীনার চিন্তা ছিল লাখ দুয়েক টাকা জমলে সেই টাকা বাবার হাতে দিয়ে বিয়ের কথা বলবেন, যাতে সংসার চালাতে কষ্ট না হয়। কিন্তু মীনার বাবা বিয়ের কথা জানার পর কামালকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
আরো পড়ুন:
আহান পান্ডে ঝড়: ১৪ দিনে আয় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা
৯৭ লাখ টাকার গহনা খোয়ালেন উর্বশী
মীনা চলে যান স্বামী কামালের বাড়িতে। কিন্তু কামাল আমরোহি মীনার জীবনের সুখ হতে পারেননি। পরিচালক স্বামী তাকে সিনেমায় কাজ করতে দেন তিনটি শর্তে। শুটিং থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসতে হবে, যাতায়াত নিজেদের গাড়িতে আর মেকআপ রুমে মেকাপম্যান ছাড়া আর কাউকে আসতে দেওয়া যাবে না। সময়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্রমে তিক্ত হতে থাকে।
কামাল আমরোহি রীতিমতো গোয়েন্দা লাগিয়ে রেখেছিলেন মীনার পেছনে। ১৯৬৩ সালে সাহেব বিবি অর গুলাম মনোনীত হয় বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য। কামাল আমরোহির আপত্তির কারণে বার্লিনে যাওয়া হয়নি মীনার। আর নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন তো চলতই। পিতাকে ছেড়ে যে বাড়িতে গিয়েছিলেন, সে বাড়িও ছাড়েন মীনা। তার শেষ আশ্রয় হয় অ্যালকোহল আর কবিতা। ১৯৬৮ সালে শনাক্ত হয়, মীনা লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছেন। ১৯৭২ সালে ৩৯ বছর বয়সে মারা যান এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক ম ল আমর হ
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।