মহানগর বিএনপি সবসময়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছে : সাখাওয়াত
Published: 1st, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির লীলাভূমি হল বাংলাদেশ। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা নিজ নিজ ধর্ম খুব সুন্দর ভাবে পাল করে আসছি।
কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী ধর্মীয় সম্পদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতো। এ ধরনের লোক কিন্তু বাংলাদেশের অভাব নাই।
বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি কিন্তু শ্রদ্ধাবোধ আছে। একজন ভালো মানুষ কখনো অন্য ধর্ম মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করতে পারে না। আর আমি কখনো দেখিনি কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করে।
বাংলাদেশের মুসলমান সংখ্যা ঘনিষ্ঠ বেশি এরপরে দ্বিতীয় স্থানে কিন্তু রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। এর পরে রয়েছে বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজন। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে থাকতে চাই।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শুক্রবার ( ১ আগস্ট)। সকাল এগারোটায় শহরের চাষাড়া বালুরমাঠস্থ রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন আমরা যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকি। তাদের সকল অনুষ্ঠানে আমাদের কে সংশ্লিষ্টতা থাকার জন্য। আর আমাদের সংশ্লিষ্টতা যাতে আপনাদের কোন সমস্যা না হয়। আপনাদের যেকোনো সমস্যা হলোআমাদেরকে অতিবাহিত করবেন।
মহানগর বিএনপি সবসময়ই আপনাদের পাশে আছে। নারায়ণগঞ্জে দূর্গা পূজা থেকে শুরু করে সকল ধর্মীয় উৎসবে মহানগর বিএনপির আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এদেশের জনগণের দল। বিএনপি দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের দল। বিএনপির সবাই করতে পারবে। কারণ বিএনপি দলের মধ্যে ধর্মীয় কোন বিষয় না। যার যার ধর্ম সে পালন করবে সেটাকে বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছে বিএনপি সদস্য শুধু যে মুসলমান হবে তাই না হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই এই দলের সদস্য হতে পারবে। আমাদের নতুন সদস্য কার্যক্রম চলছে। আপনারা চাইলে আমাদের এই দলের সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু যারা অন্য দলে রয়েছে এবং খারাপ প্রকৃতির লোক পারবেন না এটা আমাদের কেন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা। এছাড়া সবাই এই দলের সদস্য হতে পারবেন।
বাংনারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ন র য়ণগঞ জ জ ল আপন দ র র সদস য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাথে গিয়াসউদ্দিনের মতবিনিময় সভা
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায়, নারায়ণগঞ্জের সুনাম বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মত প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সমস্যা, জনদুর্ভোগ, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় সিনিয়র সাংবাদিকরা গিয়াস উদ্দিনকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার সময়েই নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ স্তম্ভসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল।
আলহাজ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের ‘রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় বন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা আত্মশুদ্ধিতে সহায়তা করে। কারো চরিত্র হনন না করে সঠিক লেখনির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি মানুষের সম্মান ক্ষুন্ন করে এমন সংবাদের প্রকাশের ক্ষেত্রে স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য নতুন কার্যকরী পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানান।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সবসময় নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাবো ইনশা’আল্লাহ। আগামীতে বিএনপি থেকে যাকেই মনোনয়ন দিবে, দলের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে আমি তার পক্ষে কাজ করে যাব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী পরিষদ সদস্য আরিফ আলম দীপু, আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলাম জীবন ও প্রণব কৃষ্ণ রায়।
আরো উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য অহিদুল হক খান, হাফিজুর রহমান মিন্টু, নাহিদ আজাদ, মাকসুদুর রহমান কামাল, শফিউদ্দিন বিটু, মনির হোসেন, নাফিজ আশরাফ, আনিসউর রহমান আনিস, সালাম জুবায়ের, রফিকুল ইসলাম রফিক, মজিবুল হক পলাশ, ইউসুফ আলী এটম, হাসান আরিফ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হাসান, শওকত আলী সৈকত, দিলীপ কুমার মন্ডল, মো: মহিউদ্দিন পলাশ, মোশতাক আহমেদ (শাওন), মো: সামন হোসেন, মো: রাসেল (আদিত্য), হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামল, এমরান আলী সজীব, সাবিত আল হাসান ও মো: সাইফুল ইসলাম (সায়েম) এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, দৈনিক অগ্রবানী’র সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, সোনারগাঁ থানা যুবদলের আহ্বায়ক শহীদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান, বিএনপি নেতা পল্টু কর্মকার। সভা শেষে সবাই মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহন করেন।